খারাপ জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকের উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়, যা বাত এবং কিডনির সমস্যা তৈরি করে। প্রাকৃতিক উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আয়ুর্বেদ এবং ঐতিহ্যগত চিকিৎসা ব্যবস্থায় ইউরিক অ্যাসিড কমাতে একটি কার্যকর প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা হয় মশলা। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং মেটাবলিজমের উন্নতিতেও সহায়ক মশলা। হলুদ, আদা, দারুচিনি এবং মেথি বীজের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিড কমানো যেতে পারে।
হলুদ প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এতে উপস্থিত উপাদান প্রদাহ এবং শরীরের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। হলুদ সেবনের মাধ্যমে বাত ও জয়েন্টের ব্যথাও কমে যায়। ইউরিক অ্যাসিড কমাতে আদার ব্যবহার উপকারী। আদাতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা শরীরের প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আদার নিয়মিত সেবন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়াও উন্নত করে।
শরীরে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করার জন্য দারুচিনি খুবই উপকারী। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে। দারুচিনি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। ইউরিক অ্যাসিড কমাতে মেথির বীজও কার্যকর। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মেথির বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করে। মেথির বীজ জলে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়।