সুস্থ থাকার জন্য খাবার ও জলের সঙ্গে ঘুমও খুবই জরুরি। কিন্তু বর্তমান যুগে ব্যস্ত জীবনের সময়সূচী, মানসিক চাপ, স্মার্টফোন আসক্তির কারণে বেশিরভাগ সময়ই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় প্রশ্ন ওঠে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সারাদিনে কতক্ষণ ঘুমানো উচিত। অনেকেরই সারা রাত টিভি বা মোবাইলের সামনে বসে থাকার অভ্যাস রয়েছে, যা হতে পারে দুশ্চিন্তার কারণ। এই অভ্যাসের কারণে প্রভাব পড়তে পারে ঘুমের উপর। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্তত ৭ ঘন্টার ঘুম সুস্থ রাখতে পারে শরীর। তবে বয়স অনুযায়ী পরিবর্তন হয় ঘুমের সময়। সারাদিন ভালোভাবে কাজ করার জন্য রাতে পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বিভিন্ন রোগের শিকার হতে পারে শরীর। চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘ সময় পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ডায়াবেটিস, স্তন ক্যান্সার বা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ঘুমের অভাব প্রভাবিত করে শরীরের কোষকে এবং শরীরে খনিজ পদার্থের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা হাড়ের জন্য ক্ষতিকর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়সের উপর নির্ভর করে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত। বয়সের পাশাপাশি দিন ও রাতের ভিত্তিতে ভাগ করা যায় ঘুমের সময়। এই নিয়মে চললে ঘুম পরিপূর্ণ হয় এবং শরীরও সুস্থ থাকে। একটি ৪-১২ মাস বয়সী শিশুর কমপক্ষে ঘুমানো উচিত ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা। ১-৫ বছরের বাচ্চাদের ঘুমানো উচিত কমপক্ষে ১১-১৪ ঘন্টা। ৬-১২ বছর বয়সীদের ৯-১২ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। ১৩-১৮ বছর বয়সীদের ৮-১০ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। ১৮ বছর বয়সের পর থেকে অন্তত ৭ ঘন্টা ঘুম এবং ৬০ বছর পর থেকে অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুম জরুরি।