গত কয়েক বছরে দেখা গেছে যে বসে কাজ করা, নাচ, গান বা খেলার সময় হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছে তরুণ তরুণীরা, এই সমস্যাকে বলে নীরব হার্ট অ্যাটাক। এই সমস্যার শিকার হচ্ছে সব বয়সের মানুষ। নীরব হার্ট অ্যাটাক অত্যন্ত বিপজ্জনক। নীরব হার্ট অ্যাটাককে বলা হয় সাইলেন্ট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। নীরব হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ আসে এবং চিকিৎসার সুযোগও দেয় না। এই হার্ট অ্যাটাকের তেমন কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। এই হার্ট অ্যাটাক এত নীরবে আসে যে বুকে ব্যথাও পর্যন্ত অনুভূত হয় না। তবে কিছু উপসর্গ রয়েছে যা এই হার্ট অ্যাটাকে দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় মস্তিষ্কে ব্যথা প্রেরণকারী স্নায়ু মেরুদণ্ডের সমস্যার কারণে বা মনস্তাত্ত্বিক কারণে ব্যথা শনাক্ত করতে পারে না। এছাড়া বার্ধক্য বা ডায়াবেটিক রোগীরা অটোনমিক নিউরোপ্যাথির কারণে ব্যথা অনুভব হয় না। নীরব হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি হল অস্থিরতা, জ্বর, ক্লান্তি, অম্বল, বদহজম, শ্বাসকষ্ট, বুকে বা পিঠে বা বাহু ব্যথা।
অতিরিক্ত স্থূলতা, BMI ২৫ বা তার বেশি হলে, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ না করলে, উচ্চ রক্তে শর্করা, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল মাত্রার কারণে, উচ্চ লবণ এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত জিনিস খাওয়ার ফলে, অত্যধিক মানসিক চাপ, তামাক বা ধূমপান করলে, হৃদরোগ, স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে নীরব হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে।
নীরব হার্ট অ্যাটাক এড়ানোর জন্য নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করতে হবে, পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, তামাক-ধূমপান থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকতে হবে, খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর-সুষম খাদ্য ও সবুজ শাকসবজির যুক্ত করতে হবে, লাল মাংস ও ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে হবে এবং মানসিক চাপ কমাতে হবে।