প্রস্টেট ক্যান্সার রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এমনই তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। এই গবেষণায় জানা গিয়েছে, প্রস্টেট ক্যান্সারের রোগীদের স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া উচিত। প্রস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ার পরই বিশেষ মানসিক সহায়তার প্রয়োজন হয় পুরুষদের। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্তদের ১৫ শতাংশ প্রস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ার পর থেকে মানসিক স্বাস্থ্যের ওষুধ খাওয়া শুরু করে এবং ৬ শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সাহায্য দরকার বলে মনে করে। তাই এমন পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি।

প্রস্টেট ক্যান্সারের রোগীদের মধ্যে যারা মানসিক স্বাস্থ্যের সাহায্য চেয়েছেন তাদের পাশাপাশি যারা সাহায্য চান না তাদের শতকরা হারকে তুলে ধরা হয়েছে এই গবেষণায়। ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রধান গবেষক বলেছেন, প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত সমস্ত পুরুষদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সহায়তা প্রদানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে এই গবেষণা। ক্যালিফোর্নিয়ার প্রস্টেট ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের মতে, বিশ্বব্যাপী পুরুষদের ক্যান্সারের দ্বিতীয় হল প্রস্টেট ক্যান্সার। প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্তদের বেঁচে থাকার হার বেশি হওয়া সত্ত্বেও, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হয় রোগীদের।

প্রস্টেট ক্যান্সার রোগীদের বিষণ্নতা এবং উদ্বেগের হার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে আত্মহত্যার ঝুঁকিও সবচেয়ে বেশি হয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি এবং অ্যান্টি-ডিপ্রেসেনের ওষুধ খাওয়া শুরু করে ১৫ শতাংশ রোগী এবং ৬ শতাংশ রোগী মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সাহায্য চেয়েছেন। গবেষকদের মতে, প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা দেওয়া উচিত। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে আলোচনাকে স্বাভাবিক করলে উন্নত হতে পারে সুস্থতার সরঞ্জাম এবং পরিষেবাগুলি।