
এখন বাজারে গেলেই দেখতে পাবেন শুধুই পটল। গ্রীষ্মকালীন এই ফসল এই সময় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম কৃষিজ ফসল। পটল স্যুপ, তরকারী, ভাজা এমনকী মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহার কর হয়। পটল দিয়ে নানা রকমের খাবার তৈরি হয়। পটল খেতে ভালো। পটল চিংড়ি এই সময় সুস্বাদু খাবারের মধ্যে অন্যতম। তবে এই পটলের অনেক গুণ। জেনে নিন পটল কি উপকার করে আমাদের শরীরে।
গ্রীষ্মকালের অন্যতম ফসল পটলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। এছাড়া আছে ম্যাগনেসিয়াম, তামা, পটাসিয়াম, গন্ধক ও ক্লোরিন। পুষ্টি গুণে ভরপুর পটল। ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পটলে থাকে। এই উপকরণ গুলি শরীরের ভীষণ উপকারে লাগে, শরীরকে সুস্থ রাখে।
পটল হজমশক্তি বাড়ায়। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত পটল খেলে উপকার পাবেন। এছাড়া ফ্লু নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে পটল। এছাড়াও পটলে রয়েছে অনেক গুণ। অত্যধিক কাশি হলে পটল খেলে উপকার পাওয়া যায়। জ্বর,রক্তদুষ্টি কমে পটলে। গলা ব্যথা কমতে ওষুধ আকারে ব্যবহার হয় পটল। কৃমি হলে পটল সারিয়ে দেয়। শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে পটল। মুখে দুর্গন্ধ হলে তা দূর করে। এমনকি পটলের রস মাথায় লাগালে মাথা ব্যথা কমে বলে বলেন অনেকেই।
ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী পটল। ভিটামিন এ, সি,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই ত্বকের জন্য উপকারী পটল। ফ্রি র্যাডিকেলের বিস্তার রোধ করে বয়সের ছাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে পটল। শুধু তাই নয় রক্তকে পরিশোধিত করে।
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তারাও পটল থেকে উপকার পাবেন। পটলের বীজ এমন একটি স্বাস্থ্যকর বীজ যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে। পটলে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। লিভারের সাথে সম্পর্কিত রোগ নিনাময় পটলের ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সমাধান করে থাকে।
যারা ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত পটল খান। পটল ওজন কমতে সাহায্য করে। অন্যান্য সবজির তুলনায় পটলের পুষ্টিগুণ বেশি থাকলেও ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য নিশ্চিন্তে পটলের তরকারি খাওয়া যেতে পারে। পটল দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি থাকে এবং খিদেও কম হয়। পেট ভরা রাখতে ও ক্ষিদে কমাতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদরা বলেন, কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমে পটল খেলে। পটলের ছোট গোলাকার বীচিগুলো কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা প্রাকৃতিকভাবে কমাতে সাহায্য করে। ষ