আয়ুর্বেদের ইতিহাস প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরোনো। এই শব্দের অর্থ 'জীবনের বিজ্ঞান' এবং এটি শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের জন্যও নিবেদিত। আয়ুর্বেদ রোগের চিকিৎসা করার পাশাপাশি রোগের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা দূর করারও চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধের ব্যবহার, ডায়েট, যোগব্যায়াম এবং ঘনত্বের মতো জিনিস। বাত, পিত্ত এবং কফ - আয়ুর্বেদ এই তিনটি প্রধান দোষের নীতির উপর ভিত্তি করে। এটি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়।

প্রতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালন করা হয় ধনতেরাস উৎসব। ২০২৪ সালে এই উৎসব পালন করা হচ্ছে ২৯ অক্টোবর। সেই সঙ্গে এই দিনেই পালন করা হচ্ছে জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস। প্রতি বছর ধনতেরাসে পালন করা হয় আয়ুর্বেদ দিবস। বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান ধন্বন্তরীকে আয়ুর্বেদের দেবতা বলা হয়। তাই ভারত এবং সারা বিশ্বে হিন্দুদের চিকিৎসার দেবতা ধন্বন্তরীর জন্মদিবস উপলক্ষে প্রতি বছর ধনতেরাসে পালন করা হয় জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস।

২০১৬ সালে ধন্বন্তরী জয়ন্তীতে জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার। প্রথমবার আয়ুর্বেদ দিবস পালন করা হয় ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর। সেই থেকে প্রতি বছর ধনতেরাসের দিন পালন করা হয় ভগবান ধন্বন্তরী জয়ন্তী এবং জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস। ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর পালন করা হচ্ছে নবম আয়ুর্বেদ দিবস। প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন থিমের মাধ্যমে পালন করা হয় এই দিনটি। আয়ুর্বেদ দিবস উপলক্ষে অনেক ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলেজ, হাসপাতাল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবিরেরও আয়োজন করা হয় এই দিনে।