Credit: Pixabay

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের মতো অনেক রোগের ওষুধ মান পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর মানুষের মধ্যে বেড়েছে উদ্বেগ। ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন ল্যাবের গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে ৫৩টি ওষুধ। এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্যারাসিটামল, ব্যথানাশক এবং অ্যান্টিবায়োটিক। যেহেতু এই ওষুধ খাওয়া মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, তাই প্রশ্ন উঠছে এই ওষুধগুলি সেবন করা কতটা ক্ষতিকর? স্বাস্থ্যের উপর কতটা মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে এই ওষুধগুলি?

চিকিৎসকদের মতে, অনেক সময় খারাপ আবহাওয়ার কারণে ওষুধের কিছু স্টক নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং ওষুধের স্টকে প্রবেশ করতে পারে ব্যাকটেরিয়া। নমুনা ত্রুটির কারণেও ল্যাব পরীক্ষায়ও ব্যর্থ হতে পারে ওষুধগুলি। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর সব বিষয়ে যথাযথ যত্ন নেওয়া উচিত। স্টক সঠিকভাবে পরীক্ষা করার পরই ওষুধগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে কোম্পানিগুলোকে।

চিকিৎসকদের মতে, ল্যাব টেস্টে ওষুধটি ব্যর্থ হয়েছে কি না তা সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব। প্রতিটি ওষুধের প্যাকেটে লেখা থাকে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম। যেসব কোম্পানির ওষুধ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে তাদের ওষুধের লেবেল চেক করলেই দেখতে পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ল্যাব টেস্টে ব্যর্থ ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই ওষুধগুলির সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়বে কিডনি এবং লিভারের উপর। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এমন অনেক রোগের জন্য প্রতিদিন ওষুধ খায় অনেকেই, তাই পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়া ওষুধ খেলে লিভার বা কিডনি সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।