আম খেতে তো দারুন মজা। আমের উপকারিতাও রয়েছে অনেক। তবে পাকা আম যেমন আমরা খাই এর পাশাপাশি কাঁচা আমের ও কদর রয়েছে। তবে আম খেয়ে আমের খোসা আমরা ফেলে দিই। আমের খোসা দিয়ে ফেলে না দিয়ে রেখে দিন। অনেক উপকারিতা পাবেন। জেনে নিন আমের খোসার উপকারিতা।
আমের খোসায় প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আমের খোসায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ও ই। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আমের খোসায় ভিটামিন সি এবং ই, ক্যারোটিনয়েডস এবং পলিফেনলস থাকে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে, সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারি আমের খোসা। আমের খোসায় লেপ্টিন নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
হজমে সহায়ক। আমের খোসায় থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। আমের খোসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ফলে শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
ওজন আমের খোসা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করতে পারে, কারণ এটি হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখে এবং শরীরে মেটাবোলিজম বাড়ায়। আমের খোসা অ্যান্টি ডায়াবেটিক ও অ্যান্টি ক্যানসার গুণ সম্পন্ন।
চোখের জন্য উপকারি। আমের খোসায় ভিটামিন এ রয়েছে। যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আমের খোসায় থাকা প্রদাহবিরোধী উপাদান আর্থ্রাইটিস ও আলঝেইমারের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। আবার হার্টের জন্য কার্যকরি আমের খোসা। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সর্বোপরি আমের খোসা শরীরে শক্তি যোগায়। এটি ভীষন উপকারি এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। তবে সবক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।