চা বাঙালির রোজকার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সকালে ঘুম ভাঙা থেকে বিকেলের আড্ডা—সবকিছুতেই এক কাপ গরম চায়ের জুড়ি নেই। তবে অনেকেই জানেন না যে, চা কতক্ষণ ফোটানো উচিত, কোন কায়দায় বানালে তার স্বাদ যেমন থাকবে তেমনি তার স্বাস্থ্যগুণও বজায় থাকবে।

সাধারণভাবে চা বানানোর সময় অনেকে চা পাতাকে অনেকক্ষণ ফুটিয়ে রাখেন, যা একদিকে চায়ের স্বাদ তিক্ত করে তোলে, অন্যদিকে এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ভাল চা বানাতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

ফ্রেশ ফিল্টারড জল নিন। বিশুদ্ধ জল চায়ের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে। জল ফোটানোর পর যখন ছোট ছোট বুদবুদ উঠতে শুরু করে, তখনই তাতে চা পাতা দিতে হবে।

চা পাতা দেওয়ার পর ২–৩ মিনিটের বেশি ফুটানো উচিত নয়। বেশি সময় ফুটালে ক্যাফেইন ও ট্যানিন অতিরিক্ত বের হয়ে গিয়ে চা তিক্ত স্বাদের হয়ে ওঠে এবং হজমে সমস্যা করতে পারে। যদি আপনি দুধ চা বানাতে চান, তবে জল ও দুধ একসঙ্গে ফোটান, তারপর চা পাতা দিয়ে মাত্র ৩–৪ মিনিট ফোটালেই যথেষ্ট।

চিনি কম ব্যবহার করাই ভালো, চাইলে মধু ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সেটি ফোটানো চায়ে ঠান্ডা হলে মেশান। আর যদি আপনি আদা, দারচিনি, লবঙ্গ ইত্যাদি মশলা দিয়ে চা বানান, তাহলে সেগুলো আগে ফুটিয়ে তার পর চা পাতা দিন। এতে উপাদানগুলোর স্বাস্থ্যগুণ বজায় থাকবে এবং স্বাদও হবে ভারসাম্যপূর্ণ।

সবুজ চা বা গ্রিন টি বানানোর সময় জল একেবারে ফুটিয়ে নয়, হালকা গরম করে ব্যবহার করতে হয় (প্রায় ৮০–৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। তাতে চা পাতা ভিজিয়ে ২–৩ মিনিট রেখে দিলেই তৈরি হয় স্বাস্থ্যকর এক কাপ গ্রিন টি।

এই নিয়মগুলি মেনে চা বানালে তা শুধু স্বাদেই নয়, গুণেও হবে পরিপূর্ণ।