বর্তমান যুগে অনেকেই রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন এবং রক্তচাপের কথা আসলে প্রথমে আসে উচ্চ রক্তচাপের কথা। কিন্তু নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিলে উপেক্ষা করা হয়। নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণগুলি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান না হওয়ার কারণে এটিকে উচ্চ রক্তচাপের চেয়ে কম বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। নিম্ন রক্তচাপ পরিচিত হাইপোটেনশন নামে, যা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিক রক্তচাপের সীমা ১২০/৮০ মিমি থেকে কম হয় এবং ৯০/৬৯ এর নিচে যেতে শুরু করলে তাকে হাইপোটেনশন বলে।
নিম্ন রক্তচাপের জন্য অনেক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে পুষ্টির অভাব, ডিহাইড্রেশন, স্ট্রেস, হাইপোথাইরয়েডিজম, গুরুতর সংক্রমণ, অ্যানিমিয়া বা রক্তের পরিমাণ কমে যাওয়া, গর্ভাবস্থা, হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা। রক্তচাপ কম হলে দেখা যায় মাথা ঘোরা, ঝাপসা দৃষ্টি, বমি বমি ভাব, বমি, তৃষ্ণার্ত অনুভূতি এবং ক্লান্তি। দীর্ঘক্ষণ বসে বা শুয়ে থাকার পর দাঁড়ালে মাথা ঘোরা অনুভব করাকে বলা হয় পোস্টুরাল হাইপোটেনশন। এই লক্ষণগুলি মাথায় রেখে অবিলম্বে রক্তচাপ পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসা করা উচিত। এছাড়াও, রক্তচাপ কমে গেলে এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলির সাহায্যে তাৎক্ষণিক উপশম পাওয়া সম্ভব।
লবণ
জলে দ্রবীভূত লবণ পান করলে রক্তচাপ কম থাকে। WHO এর মতে, লবণের পরিমাণ দিনে ১ টেবিল চামচের বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে নিম্ন রক্তচাপে সোডিয়ামের পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন হয়ে পড়ে, তাই জলে দ্রবীভূত লবণ পান করলে তাৎক্ষণিক উপশম পাওয়া যায়। জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, যা ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
কিশমিশ
কিশমিশ সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে এবং সকালে খেতে হয়। এটি রক্ত সঞ্চালনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
ক্যাফিন
চা এবং কফি সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তবে এই বিষয়ে এখনও গবেষণা চলছে।