শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যেকোনও ঋতুতেই খেতে ভালো লাগে আইসক্রিম। তবে সাধারণত মনে করা হয় যে আইসক্রিম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, কারণ এতে চিনি এবং রঙের মতো জিনিস থাকে, যা অনেক রোগের কারণ হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় জানা গেছে, আইসক্রিমের কারণে স্বাস্থ্যের উপর ভালো প্রভাবও পড়ে। এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, আইসক্রিম খেলে অনেক রোগ সেরে যায়। আইসক্রিম মেজাজ উন্নত করার পাশাপাশি শরীর ও মনের ওপর বিশেষ প্রভাব ফেলে। শুধু এক কাপ আইসক্রিমই বদলে দিতে পারে মেজাজ। আইসক্রিম খেলে মানসিক চাপ অনেকাংশে কমে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আইসক্রিম অনেক ব্যথা উপশম করে এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। আইসক্রিমে উপস্থিত দুধে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান যা হ্যাপি হরমোন সেরোটোনিন নিঃসরণ করে মস্তিষ্ককে ভালো করে তোলে। ২০২১ সালের লন্ডনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে আইসক্রিম খাওয়ার পরে, মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে। আইসক্রিম খাওয়া মস্তিষ্কের অরবিফ্রন্টাল কর্টেক্সকে তীক্ষ্ণ করে, যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উপকারী। আইসক্রিমে উপস্থিত ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের চাপ কমাতে সাহায্য করে, এর ফলে ঘুম উন্নত হয়। আইসক্রিম খেলে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়।
দুগ্ধজাত দ্রব্য থেকে তৈরি আইসক্রিমে দুধ ও চর্বি থাকার কারণে একটি বিশেষ ধরনের মেমব্রেন তৈরি হয়, যা রক্তে চিনি নিঃসরণের গতি কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে আইসক্রিমের একটি কম গ্লাইসেমিক সূচক মান রয়েছে, যার অর্থ এটি চিনির নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, তাই হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় মজবুত করে শরীরের হাড় সুস্থ রাখে। আইসক্রিমে উপস্থিত প্রোবায়োটিক পরিপাকতন্ত্রের উন্নতিতে সাহায্য করে, এর ফলে পেট সুস্থ থাকে। তবে কিছু পরিস্থিতিতে আইসক্রিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এর কারণে অনেক রোগে ক্ষতিও হতে পারে।