যৌনতা যে সবসময় আনন্দই দেয় এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। অনেক সময়ই নির্ভরযোগ্য যৌনজীবনও আপনার সঙ্গিনীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সেসব বিবেচনা করে দেখা যুক্তিযুক্ত। কেননা অনেক সময়ই দেখা যায় সঙ্গমের সময় মহিলা সঙ্গিনী (Partner)ব্যথা পাচ্ছেন, মুখ বুজে সেসব সহ্য না করে কারণ জানার চেষ্টা করুন। সবকিছুরই সমাধান হাতের মুঠোতে থাকে, আতঙ্কিত হবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

যোনি যদি বারবার শুকিয়ে যায়, তাহলে সমস্যা বাড়বেই সঙ্গম মসৃণ হবে না।  সমস্যা দূর করতে গরম জলে স্নান এড়িয়ে চলুন। তাই একমাত্র ফোর প্লে করেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের(Prescription) ওষুধও অনেক সময় যোনি শুকিয়ে যায়, তাই ডাক্তারকে বলে এই ধরনের ওষুধ বন্ধ করানো জরুরি। বরং কোনও লুব্রিক্যান্ট প্রেসক্রাইব করার অনুরোধ করতে পারেন। ভ্যাজাইনার সুরক্ষার জন্য অনেক সময়ে অনেক লুব্রিকেন্ট বা সাবান ব্যবহার করেন অনেকেই, কিন্তু সেগুলো আদৌ কতটা কাজে আসে আর কতটা ক্ষতি করে, তা জেনে নেওয়া দরকার।  অনেক ছোঁয়াচে রোগও থাকে অনেক সময়ে।  তাই সে সব রোগে আপনাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। অন্যদিকে ফোরপ্লে ঠিক করে না করলে, সহজাতভাবে কখনওই একজন মহিলার ফ্লুইড সিক্রিশন হবে না।  তাতে ভ্যাজাইনাল ওয়াল বা যোনির দেওয়াল শুকনো থাকবে, ঘর্ষণ বেশি হবে,  ব্যথা করবে।  সারাদিনের স্ট্রেস বা ক্লান্তি নিয়ে বিছানায় যাবেন না।  এতে আপনার সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।  সারাদিনের ক্লান্তি আপনার মাথায় থাকলে শারীরিক আনন্দ উপভোগ করা অসম্ভব। স্ট্রেস এড়াতে  প্রয়োজনে মাসাজ, মেডিটেশন, যোগ করতে পারেন।

একইভাবে মহিলাদের মেনোপজের সময় যৌন সঙ্গম করলে ব্যথা করতে পারে।  কারণ ভ্যাজাইনার দেওয়াল এ সময়ে অতিরিক্ত স্পর্শকাতর হয়ে থাকে।তাই সঙ্গমে মহিলা সঙ্গীর ব্যথা বাড়তে পারে। নর্ম্যাল ডেলিভারি বা সি-সেকশন যাইহোক না কেন সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে ভ্যাজাইনা খুব নরম থাকে। তাই ছ সপ্তাহ পরে সঙ্গমের চেষ্টা করতে পারেন, আগে একেবারেই নয়। তারপরেও যদি কোনওরকম ইরিটেশন থেকে থাকে তো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।