কলকাতা : কমিউনিকেশনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল কথা। আর সুন্দর গুছিয়ে কথা বলা এক ধনের শিল্প। যে যত ভালো কথা বলতে পারে তাঁর কমিউনিকেশন (Communication) তত ভালো। আর ভালো কমিউনিকেশনই কোনও সম্পর্ক সুন্দর ও হেলদি রাখতে সাহায্য করে, একে অপরকে বুঝতে সাহায্য করে।

থেরাপিস্ট ইসরা নাসির জানিয়েছেন, ‘আমরা অনেকসময় কথা বলে যাওয়াকে যোগাযোগের দক্ষতা বলে মনে করি, কিন্তু বিষয়টা আসলে তা নয়। ভালো কমিউনিকেশন হল ভেবে চিন্তে মন্তব্য করা, বোঝা, সহানুভূতিশীল হওয়া। ভালো কমিউনিকেসনই একটা সম্পর্কের মেরুদণ্ড, সে যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে, হতে পারে কর্মক্ষেত্র, বন্ধুত্ব, পরিবার বা ভালবাসার সঙ্গী।'

কমিউনিকেসন স্কিল উন্নত করার কিছু টিপস দেখে নিন 

পার্থক্য বোঝা : অনেক সময় আমরা আমাদের পক্ষে যুক্তি সাজিয়ে কথা বলি, কিন্তু কখনও কখনও অহেতুক যুক্তি না সাজিয়ে নীরব থাকবে হবে। ঠিক ভুলের পার্থক্য বুজতে হবে।

কৌতূহলী: অন্যদের সম্পর্কে কৌতূহলী হলে তাঁদের সম্পর্কে বুঝতে সুব্ধা হবে এবং সেই মতো তাঁদের সঙ্গে কমিউনিকেসন করতে সুবিধা হবে।

আবেগ নিয়ন্ত্রণ: আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে। নিজদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখলে পরিস্থিতি বুঝতে সুবিধা হবে এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে সাহায্য করে।

কথা বলার আগে চিন্তা করুন: আমরা অনেক সময় কোনও কিছু না ভেবে চিন্তেই কোনও মন্তব্য করে বসি। আমাদের কথাগুলি অন্য কারও উপর কী প্রভাব ফেলতে পারে তা আমাদের বুঝতে হবে এবং তারপরে সেই অনুযায়ী কথা বলা উচিত।

শুধু জেতার উপর ফোকাস করা এড়িয়ে চলুন:

কথোপকথনে আমরা নিজেদের মন্তব্য গুলিকে জোর দিয়ে ঠিক প্রমাণ করার চেষ্টা করি, এই নিজেকে ঠিক প্রমাণ করার তাগিদে আমরা আক্রম নাতবক হয়ে উঠি। একটি যুক্তি নয়, এবং আমাদের এটি বুঝতে হবে। কথোপকথন জেতার তাগিদ আমাদের আক্রমণ মোডে রাখে।

অন্যদের ভুল হতে দিন: কখনও কখনও কথোপকথন হটাৎ থামিয়ে দেওয়াও স্বাস্থ্যকর । নিজেদেরকে ব্যাখ্যা করা বন্ধ করুন এবং নিজের সম্পর্কে অন্যদেরকে তাঁদের মতও করে ভেবে নেওয়ার স্বাধীনতা দিন।

বোঝার জন্য শুনুন: বেশিরভাগ লোকের সমস্যা হল যে তারা শুনতে হবে বলে শোনেন, মুখীয়ে থাকেন কতক্ষণে অপর জনের কথা শেষ হবে এবং তিনি পাল্টা মন্তব্য করবেন। নিজের মন্তব্য করাকেই বেশি গুরুত্ব না দিয়ে অপর ব্যক্তিটি কী বলছে সেটা বোঝার জন্য ভালো করে শুনুন।

কমিউনিকেসনের সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ফোন চেক করা বা টিভি দেখা এড়িয়ে চলতে হবে।