শরীরে উপস্থিত ৪টি হরমোনের কারণে সুখ অনুভব হয়। শরীরে এই হরমোনের মাত্রা কমতে শুরু করলে মানসিক চাপ অনুভব হয়। এমন পরিস্থিতিতে এই হরমোনগুলো কোনটি সুখ-দুঃখের জন্য দায়ী এবং কীভাবে তাদের ভারসাম্য বজায় রেখে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব তা সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। চকোলেট খেলে শরীরে হ্যাপি হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান, যা সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায় এবং তাতে ভালো বোধ হয়।
মাশরুম তার অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট গুণাবলীর জন্য পরিচিত। এছাড়াও মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, যা মুড নিয়ন্ত্রণকারী ভিটামিন। এটি সেরোটোনিন সংশ্লেষণের স্তরের সঙ্গে সম্পর্কিত, যার কারণে ব্যক্তি সুখের অনুভব করতে সক্ষম হয়। মেজাজ খারাপ থাকলে মাশরুম খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়। আয়রন উপাদানের জন্য পরিচিত পালং শাক সুখী হরমোন বাড়াতেও কাজ করে। আয়রনের পাশাপাশি পালং শাক ফাইবার এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা এটি হজম এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
অ্যাভোকাডো পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে উপস্থিত ভিটামিন বি৩ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা একটি সুখী হরমোন। সারাদিন খুশি থাকতে সালাদ, স্যান্ডউইচ বা ব্রেকফাস্টে অ্যাভোকাডো যোগ করা যেতে পারে। এছাড়া শুকনো ফল হতে পারে সুখের চাবিকাঠি। তাই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন শুকনো ফল। প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম বা আখরোট খাওয়া ক্ষুধা কমায়, মেজাজ উন্নত করে এবং মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখে।