ফর্সা হওয়ার ক্রিম মাখলেই আপনি রূপবতী। না না হাঁ করে বিজ্ঞাপন পড়ার মতো কিছু ঘটেনি। মোটেও সব পেয়েছির দেশের ঠিকানা আপনার মুঠোতে ধরা দেয়নি। স্টে ডার্ক স্টে বিউটিফুল কথাটি তাহলে মূল্যহীন হয়ে যেত। ফেয়ারনেস ক্রিম নিয়ে নামি অভিনেতা অভিনেত্রীরা যতই বিজ্ঞাপন করে লাভের অঙ্ক ঘরে তুলুন না কেন, ফর্সা হওয়াটা কিন্তু বংশগত ব্যাপার।
ফেয়ারনেস ক্রিমে(Fairness cream) যদি সত্যি সত্যই ফর্সা হওয়ার গুণমান থাকত তাহলে এতদিনে নেলসন ম্যান্ডেলা, নিদেনপক্ষে সেরেনা উইলিয়ামস, বিপাশা বসু, কঙ্কনা সেন শর্মা, শাবানা আজমি কেউ আর কালো থাকতেন না। আমাদের দেশে এখনও কালো মানেই অন্ধকার এই ব্যাখ্যাতে বিশ্বাসী লোকের সংখ্যা বেশি তাইতো ইয়ামি গৌতমের মতো ফাটাফাটি সুন্দরী নায়িকা ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখান। সৌন্দর্য যে রং দিয়ে বিচার্য হতে পারে না তা কেউ বিশ্বাসই করতে চায় না। মুখে বড় বড় বুলি আওড়ালেও ছেলের মা কনেবউকে ফর্সা দেখতেই পছন্দ করেন। তাহলে কী ভাবছেন আপনি টুক করে বাজারে গিয়ে ফেয়ারনেস ক্রিম কিনে আনলেন, আর বিপাশা বসু বোকা তাই কিনতে পারলেন না। আরে এসব ছাড়ুন তাহলে আপনার অনেক আগেই ফর্সা হয়ে যেতেন বলি সুন্দরীরা। খোদার উপরে খোদকারি হলেও প্রকৃতিকে বদলে দেওয়া এতটা সহজ নয়। বিশেষ করে যখন ফর্সা হতে আপনার হাতের কাছেই রয়েছে নানারকম ফেয়ারনেস ক্রিম
এদিকে ড্রাগ এবং কসমেটিক অ্যাক্টের শিডিউল জে ক্লজ ১৮-তে আছে যে ফর্সা করার দাবি জানিয়ে কোনও ওষুধ বিক্রি করা দূরের কথা, বিজ্ঞাপন দেওয়াও বেআইনি! অথচ, শুধু বিক্রি নয়, রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই সব ক্রিম। এগুলি অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং শক্তিশালী স্টেরয়েডের ভয়ংকর ককটেল! বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টেরয়েড যুক্ত ক্রিম মাত্রাতিরিক্ত মাখলে চামড়া পাতলা হয়, লাল হয়ে রক্তনালি দেখা যায়, ব্রণ বেরোয়, মেয়েদের মুখে অবাঞ্ছিত লোম গজায়! তবে স্টেরয়েডকে খারাপ বলছেন না তাঁরা, কিন্তু ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া স্টেরয়েড ব্যবহারও য়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে তা বলাই বাহুল্য।