
ক্যাস্টর অয়েল, যা রিসিনাস কমিউনিস গাছের বীজ থেকে তৈরি হয়, এক ধরনের ঘন ও হলুদ রঙের তেল। এটি প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর ভেতরে থাকা রিসিনোলেইক অ্যাসিড একে বিশেষভাবে উপকারী করে তোলে।
চুলের যত্নে ক্যাস্টর অয়েল অত্যন্ত জনপ্রিয়। নিয়মিত মাথায় ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুল পড়া, ড্যান্ড্রাফ ও শুষ্ক চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এটি শুধু চুলের স্বাস্থ্যেরই যত্ন নেয় না, বরং চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এবং সজীবতা ফিরিয়ে আনে।
ক্যাস্টর অয়েলের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বককে রক্ষা করে। সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করলে এটি শুষ্কতা দূর করে, লোমকূপগুলো বন্ধ করে এবং বার্ধক্যের চিহ্ন কম করতেও সাহায্য করে। অনেকেই ফেস মাস্কে মিশিয়ে অথবা ময়শ্চারাইজারে সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করে থাকেন, যার ফলে ত্বক দেখা যায় কোমল ও উজ্জ্বল
কিভাবে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করবেন:
চুলের যত্নে:
প্রথমে, চুলগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন যাতে ধুলো-ময়লা না থাকে। এরপর একটু সামান্য পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল হাতে নিয়ে ঘষে গরম করে নিন, যাতে তা একটু পাতলা হয়ে যায়। এরপর আপনার মাথার গোড়ায় হালকা করে ম্যাসাজ করুন। এই ম্যাসাজ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের গ্রোথ কে বাড়াতে সাহায্য করে। এরপর আপনার চুলে এই তেল কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল চকচকে, মজবুত এবং সতেজ হয়ে উঠবে।
ত্বকের যত্নে:
ত্বকে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করলে তা স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং শুষ্কতা দূর করে। চামড়ায় আরও উজ্জ্বলতা আনার জন্য, আপনি অল্প পরিমাণ তেল সরাসরি ত্বকে লাগাতে পারেন বা ময়শ্চারাইজারের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে, আগে মুখের একটি ছোট অংশে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া ভালো এতে অ্যালার্জির সম্ভাবনা থাকলে তা বুঝে নেওয়া যায়।
ব্যথা থেকে মুক্তি:
যদি কোন ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চান, কিছুটা কাস্টর অয়েল হাতে নিয়ে ব্যথাযুক্ত স্থানে ম্যাসাজ করে দেখতে পারেন। এতে করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং সেই ব্যাথা থেকে আপনাকে মুক্তি দেয়।