
কলা এমন একটি ফল যা শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই পছন্দের। এটি সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়। কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, তামা ইত্যাদির মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা শরীরে শক্তি সরবরাহ, হৃদরোগের স্বাস্থ্য বজায় রাখা, হজমশক্তি উন্নত করা, মানসিক অবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখা এবং ত্বকের উন্নতির জন্য একটি চমৎকার বিকল্প। কলা কার্বোহাইড্রেটের একটি ভালো উৎস, বিশেষ করে প্রাকৃতিক শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রালোজ। এগুলো শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। তাই এটি তাৎক্ষণিক শক্তির জন্য সেরা জলখাবার।
ভিটামিন এ, সি এবং বি৬ ছাড়াও, কলায় ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থও রয়েছে, যা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য এবং দৃষ্টিশক্তির জন্য অপরিহার্য। যেখানে ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। কলায় ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি খেলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমে। কলায় ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এগুলো ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং সুরক্ষায় সহায়ক।
কলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এতে পেকটিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন বজায় রাখে এবং রক্তনালীগুলিকে সুস্থ রাখে। কলায় ভিটামিন বি৬ থাকে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।