কথিত আছে, দিনে একটি আপেল দূরে রাখে ডাক্তার, অর্থাৎ প্রতিদিন একটি আপেল খেলে রোগ দূরে থাকে, যার কারণে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যাদের আপেল খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। আপেল খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে আপেলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ডায়েটারি ফাইবারের মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ। এছাড়া আপেল কোয়ারসেটিন, ক্যাটিচিন এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হয়, যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
আপেলে উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবার, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া আপেলে উপস্থিত পলিফেনল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আপেলে কম ক্যালোরি থাকার কারণে, ওজন কমানোর জন্য এটি একটি দুর্দান্ত স্ন্যাকসের বিকল্প। আপেলে উপস্থিত পেকটিন হল এক ধরনের প্রিবায়োটিক ফাইবার যা পাকস্থলীর ভালো ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্ট করে, যার ফলে হজমশক্তি উন্নত হয়। আপেলে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। তবে দুনিয়ায় এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের আপেল খেলে অ্যালার্জি হতে পারে।
ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিরা বেশি পরিমাণে আপেল খেলে মুখ, গলা এবং ত্বকে চুলকানি বা ফোলাভাব হতে পারে। খুব বেশি আপেল খাওয়া বিশেষ করে আপেলের খোসা খাওয়ার কারণে পেট ফাঁপা, গ্যাস বা পেটে ব্যথা হতে পারে। আপেল কিছুটা অ্যাসিডিক, তাই বেশি পরিমাণে আপেল খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা পেট খারাপ হতে পারে। আপেলের রস অ্যান্টিহিস্টামাইন এবং অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কিছু ওষুধের শোষণে হস্তক্ষেপ করতে পারে। একই সঙ্গে আপেল খাওয়ার পর টক ফল, আচার, মুলো খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। বর্তমান যুগে বাজারে কেমিক্যাল যুক্ত আপেলও পাওয়া যায়, এই আপেলের দাম একটু কম হয়। কেমিক্যাল যুক্ত আপেল খাওয়া থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরি, এর ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।