Nawab Wajid Ali Shah Birthday: নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের হাত ধরেই কলকাতায় তৈরি হয় আলু-বিরিয়ানি
Nawab Wajid Ali Shah and Kolkata Biriyani. Photo Source: Wikipedia

আলু-মাংস-ডিমের সমাহারে কলকাতার বিরিয়ানি, আহা ! নাম শুনলেই জিভে জল আসতে বাধ্য।  তবে এ বিরিয়ানি আদতে দিল্লি, একটি মুঘলাই ডিশ আর যা সম্পূর্ণ আলাদা। কলকাতার বিরিয়ানির সমগোত্রীয় আপনি অন্য কোথাও পাবেনই না। আর এর ইতিহাস জানতে আপনাকে টাইম মেশিনে দেড়শো বছর পিছিয়ে যেতে হবে। সালটা ছিল ১৮৫৬, অযোধ্যা হারালেন ওয়াজিদ আলি শাহ, সব ছেড়ে চলে এলেন কলকাতায়। মেটিয়াব্রুজে অস্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করলেন ওয়াজিদ আলি, এরপর রয়েছে আরও এক ইতিহাস! কিন্তু সেসব এখন থাক।

এরপর একে একে জন্ম হতে শুরু করে কলকাতার ঐতিহ্যের। অওয়ধের শেষ নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের হাত ধরেই কলকাতাবাসী চিনেছিল বিরিয়ানির স্বাদ, লখনউয়ের থেকে কম মশলা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। হালকা বিরিয়ানির গন্ধ মেশানো আলু আর সিদ্ধ ডিমে ‘দমপোখ্‌ত’বা ঢিমে আঁচে লম্বা লম্বা সুগন্ধী চাল দিয়ে বিরিয়ানি তৈরি শুরু করলেন। আর্থিক সঙ্কটে ওয়াজিদ আলি মাংসের খরচ বাঁচাতে বিরিয়ানিতে শুরু করেছিলেন আলুর ব্যবহার, আর তা আজ কলকাতাবাসীর মনের কোণে ভালবাসার জায়গা নিয়েছে। ৩০ জুলাই, ১৮২২, লখনউয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ওয়াজিদ আলি।

বিরিয়ানির পাশাপাশি ওয়াজিদের হাত ধরেই এ শহর চিনেছিল তবলা, সরোদ-এসরাজ এবং সানাই। ওয়াজিদ আলি শাহ’র প্রপৌত্রী মনজিলাত ফতিমা সেই বিরিয়ানির স্বাদ এখনও সযত্নে বাঁচিয়ে রেখেছেন কলকাতায়। 'বিশমিল্লাহ' নাম নিয়ে শুরু হয় রান্না, দম-এ যতক্ষণ চলে বিরিয়ানি রান্না, ততক্ষণ সকলে চুপ থাকেন! রীতি মেনে একটিও কথা বলেন না কেউ।

কলকাতায় বিরিয়ানির সেরা কিছু ঠিকানা

আর্সেলান বিরিয়ানি- পার্ক সার্কাস সবচেয়ে পুরনো এবং বিখ্যাত। কলকাতার বিরিয়ানির সেরা ঠিকানা।

আউধ ১৫৯০- কলকাতার একাধিক জায়গায় এর আউটলেট রয়েছে। এ বিরিয়ানির স্বাদই আলাদা।

নিজাম- কলকাতার বিরিয়ানি আর নিজাম! এ যেন একেবারে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে।

আমিনিয়া রেস্তরাঁ- নিউমার্কেটে বিরিয়ানির আরও এক সেরা ঠিকানা। কলকাতা শহরের বুকে অন্যতম পুরনো রেস্তরাঁ।