প্রিয় পানীয়গুলির মধ্যে একটি হল কফি। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে পান করা হয় কোটি কোটি কাপ কফি। দিনের শুরু হোক বা আড্ডা বা আলাপ আলোচনা, কফি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। কফির এই জনপ্রিয়তার কারণে প্রতি বছর ১ অক্টোবর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক কফি দিবস। কফির ইতিহাস অনেক পুরনো, কফির ইতিহাস নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন যুক্তি। অনেকে বিশ্বাস করেন যে আফ্রিকা, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং আমেরিকার মতো দেশের মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই পছন্দ করত কফি। অন্য একটি যুক্তি অনুসারে, ১৬ শতক থেকে ১৭ শতকের মধ্যে কফি বেশ জনপ্রিয় ছিল ইউরোপে।
অন্য আরেকটি যুক্তি অনুসারে, ৮৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে ইথিওপিয়াতে প্রথম চালু হয়েছিল কফি। ইথিওপিয়া, প্রধানত লোহিত সাগরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত, এই স্থানটি কফির জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত। ভারত এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম কফি উৎপাদক, রপ্তানিকারক এবং ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম কফি রপ্তানিকারক। সর্বোচ্চ মানের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রিমিয়াম হিসেবে বিবেচিত হয় ভারতীয় কফি। ভারতে দুটি প্রধান ধরনের কফি রয়েছে, প্রথমটি হল অ্যারাবিকা এবং দ্বিতীয়টি হল রোবাস্তা। অ্যারাবিকার কফিতে রয়েছে মিষ্টি এবং মৃদু স্বাদ। অন্যদিকে রোবাস্তা কফি সাধারণত তিক্ত এবং কঠোর হয়।
২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে কর্মসংস্থান দিয়েছে ভারতীয় কফি শিল্প। ভারতের অধিকাংশ কফি উৎপাদন হয় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। কর্ণাটক কফির বৃহত্তম উৎপাদক, ভারতের উৎপাদনের প্রায় ৭০ শতাংশ উৎপাদন হয় কর্ণাটকে। ২০১৫ সালে প্রথমবার পালন করা হয় আন্তর্জাতিক কফি দিবস। ১৯৬৩ সালে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কফি সংস্থা অক্টোবরের ১ তারিককে আন্তর্জাতিক কফি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সারা বিশ্বে কফির ন্যায্য বাণিজ্যকে প্রচার করা হয় এই দিনে। তবে বিভিন্ন দেশের জাতীয় কফি দিবস পালন করা হয় বিভিন্ন তারিখে। কিন্তু আন্তর্জাতিক কফি দিবস পালন করা হয় শুধুমাত্র ১ অক্টোবর।