প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পালন করা হয় বিশ্ব ছাত্র দিবস। পড়ুয়া ও শিক্ষার প্রতি কালামের প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাতে প্রতি বছর ভারতে জাতীয় পর্যায়ে পালন করা হয় বিশ্ব ছাত্র দিবস। এই দিনটি পালন করার উদ্দেশ্যগুলি হল শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা, শিক্ষার মৌলিক অধিকারের উপর জোর দেওয়া এবং ডক্টর এপিজে আব্দুল কালামের অবদান স্মরণ করা। ১৯৩১ সালে ১৫ অক্টোবর ভারতের রামেশ্বরমে জন্মগ্রহণ করেন আব্দুল কালাম।

২০০২ সালের ১৮ জুলাই ভারতের ১১ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত হন তিনি। ২০১০ সালে ১৫ অক্টোবর, জাতিসংঘের সংস্থা (UNO) শিক্ষার প্রসারে ড. এ.পি.জে. আব্দুল কালামের প্রচেষ্টার জন্য তাঁর ৭৯তম জন্মদিনকে বিশ্ব ছাত্র দিবস বা বিশ্ব বিদ্যার্থী দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রতি বছর তাঁর জন্মবার্ষিকীতে পালন করা হয় 'বিশ্ব ছাত্র দিবস'। ডক্টর এপিজে আব্দুল কালামের জীবন কাহিনী থেকে শেখা যায় যে জীবনে যতই সমস্যা আসুক না কেন, শিক্ষার মাধ্যমে সমস্ত বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।

ডক্টর এপিজে আব্দুল কালামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং তাঁর কৃতিত্ব স্মরণ করা হয় বিশ্ব ছাত্র দিবসে। শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ, তাই তাদের প্রতি উৎসর্গীকৃত এই দিনটি পালন করা এবং শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে, পড়ুয়ারা ড. এপিজে আব্দুল কালাম এবং তাঁর তার জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলির সম্বন্ধে জেনে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হয় পড়ুয়ারা। 'বিশ্ব ছাত্র দিবস' উদযাপনের উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দেওয়া এবং সমাজে তাদের গুরুত্ব বোঝা।