প্রতি বছর ৫ ডিসেম্বর গোটা বিশ্বে পালন করা হয় বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস। এই দিনটি পালন করে জাতিসংঘের অধীনে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। মৃত্তিকাকে সাধারণ ভাষায় মাটি বলা হয়। ভারত ও মাটির সম্পর্ক অন্যরকম অনুভূতির প্রতিফলন ঘটায়। ভারতীয়দের কাছে মাটি দেশপ্রেমের সঙ্গে জড়িত। সারা বিশ্বে জীবনের জন্য একটি অপরিহার্য প্রাকৃতিক সম্পদ মাটি, যার ক্ষতি প্রত্যেকের জীবনকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে। এই কারণে মাটি সংরক্ষণ এবং এর টেকসই ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রতি বছর পালন করা হয় বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস।

বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালন করার উদ্দেশ্য হল মাটি ক্ষয় সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। মাটি দূষণ একটি গুরুতর পরিবেশগত সমস্যা, যা মাটির অবস্থার অবনতির দিকে নিয়ে যায়। মানুষ এবং সব ধরণের জীবের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ মাটি। কিন্তু শিল্প-কারখানার পরিবেশগত মানদণ্ডের প্রতি অবহেলা এবং কৃষি জমির অব্যবস্থাপনার কারণে মাটির অবস্থার অবনতি হচ্ছে। সমস্ত স্থলজ প্রাণীর জন্য মাটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। খনিজ, খাদ্য এবং জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস সরবরাহ করে মাটি। কিন্তু জৈব পদার্থ মাটির ক্ষতি করে, যার ফলে হ্রাস পাচ্ছে মাটির উর্বরতা।

মৃত্তিকা দিবস পালন করার প্রথম সুপারিশ করা হয়েছিল ২০০২ সালে। এই বছর ৫ ডিসেম্বর বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালনের দাবি জানায় আন্তর্জাতিক মৃত্তিকা বিজ্ঞান। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম সাধারণ পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং এই সময়ে সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালন করার ঘোষণা করা হয়। এক বছর পরে অর্থাৎ ২০১৪ সালের ৫ ডিসেম্বর বিশ্ব জুড়ে প্রথমবার পালন করা হয় বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস। বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালনের দাবির পেছনে মাটির প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব বোঝা জরুরি। এই দিনটি পালন করার উদ্দেশ্য মাটি সংরক্ষণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।