প্রতি বছর ২১ আগস্ট পালন করা হয় বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস। সমাজে বয়স্ক ব্যক্তিদের অবদানকে স্বীকৃতি ও সম্মান করার জন্য ১৯৯০ সালে এই দিনটি পালন করা শুরু করে জাতিসংঘ। ১৯৮৮ সালের ১৯ আগস্ট, প্রবীণ নাগরিক দিবস পালন করার একটি প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান। এরপর ১৯৮৮ সালের ২১ আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার পালন করা হয় বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস। তারপর থেকে প্রতি বছর ২১ আগস্ট সারা বিশ্বে পালন করা হয় এই দিনটি। ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই দিনটি পালন করা শুরু করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। ১৯৯১ সালের ১ অক্টোবর প্রথমবার পালন করা হয় বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস।

প্রবীণ নাগরিকদের চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পালন করা হয় বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস। ভারতে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের বয়স্ক নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একজন ব্যক্তিকে বৃদ্ধ বয়সে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে হয়, সেই সমস্যাগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে পালিত হয় এই দিনটি। প্রবীণ নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য প্রবীণ নাগরিকদের জন্য অনেকগুলি উদ্যোগ চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর্থিক প্রণোদনা এবং সঞ্চয় স্কিমগুলিতে উচ্চ সুদের হার ছাড়াও, ভারতে বিস্তৃত পরিসরে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করা হয় প্রবীণ নাগরিকদের। যেমন স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত চিকিৎসা এবং রাষ্ট্রীয় সড়ক বাসে ভ্রমণের উপর বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়।

প্রবীণ নাগরিকরা তাদের অতীত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান সঞ্জয় করে, যা অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করে নতুন প্রজন্মকে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে জ্ঞান এবং তথ্য প্রেরণের মাধ্যমে সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে প্রবীণ নাগরিকরা। বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসে সেই নীতিগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসটি। বয়স্কদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার একটি ভালো সুযোগ হল বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস। তাই প্রতি বছর একটি থিমের মাধ্যমে পালন করা হয় বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস।