১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ, ব্রিটিশ রাজের সময় ফাঁসি দেওয়া হয় ভগত সিং, শিবরাম রাজগুরু এবং সুখদেব থাপারের। সেই থেকে প্রতি বছর ২৩ মার্চ পালন করা হয় শহীদ দিবস। ২০২৫ সালে ৯৪তম শহীদ দিবস পালন করবে ভারত। ১৯২৮ সালের ৩০ অক্টোবর 'সাইমন, গো ব্যাক' স্লোগান দেওয়ার মাধ্যমে স্যার জন সাইমনের লাহোর সফরের বিরুদ্ধে একটি অহিংস বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন লালা লাজপত রায়। বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে করা হলেও পুলিশ সুপার লাঠিচার্জ করার নির্দেশ দেন পুলিশকে।

৩০ অক্টোবরের সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত হন এবং পরে মৃত্যু হয় লালা লাজপত রায়ের। লালা লাজপত রায়ের মৃত্যুর পর পুলিশ সুপারকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনজন তরুণ বিপ্লবী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগত সিং, রাজগুরু ও সুখদেব, কিন্তু ভুল পরিচয়ের কারণে পুলিশ সুপারের পরিবর্তে অন্য এক পুলিশের হত্যা করেন তাঁরা। লালা লাজপত রায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারের হত্যা করার সঙ্গে কেন্দ্রীয় পরিষদে হামলা করার পরিকল্পনাও করেছিলেন ভগত সিং, রাজগুরু ও সুখদেব।

পাবলিক সেফটি বিল এবং ট্রেড ডিসপিউটস অ্যাক্ট পাস হওয়া আটকানোর জন্য ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল, কেন্দ্রীয় পরিষদে বোমা হামলার চেষ্টা করেন স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগত সিং, রাজগুরু ও সুখদেব। বোমা হামলা করার চেষ্টার অপরাধে ভগত সিং, সুখদেব, রাজগুরুকে বন্দী করার সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাঁদের। ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ লাহোর জেলে ফাঁসি দেওয়া হয় ভগত সিং, সুখদেব, রাজগুরুর। দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ভগত সিং, শিবরাম রাজগুরু এবং সুখদেব থাপার। তাঁদের এই ত্যাগ ও ভক্তিকে সম্মান জানানোর জন্য প্রতি বছর ২৩ মার্চ দিনটিতে পালন করা হয় শহীদ দিবস।