প্রতি বছর ২ ডিসেম্বর পালন করা হয় জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস। ১৯৮৪ সালের ২ এবং ৩ ডিসেম্বর ঘটে যাওয়া ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডিতে যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাদের স্মরণে পালন করা হয় এই দিনটি। আমেরিকান রাসায়নিক কোম্পানি ইউনিয়ন কার্বাইডের কীটনাশক পরিকল্পনার কারণে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে একটি জনবহুল এলাকায় বিষাক্ত মিথাইল আইসোসায়ানেট গ্যাস বের হতে শুরু করে বলে ধারণা করা হয়। ২০২০ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমানে প্রতি বছর ৩ মিলিয়নের বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল বায়ু দূষণ, যার মধ্যে ২ লক্ষেরও বেশি ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যু হয়। বার্ষিক ৬.৭ মিলিয়ন অকাল মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত বায়ু দূষণ।

ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি ১৯৮৪ সালের ২ এবং ৩ ডিসেম্বর ঘটেছিল, সেই সময়ে ভোপালের একটি কীটনাশক কারখানা থেকে প্রায় কয়েক টন মারাত্মক গ্যাস লিক হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, কারখানা থেকে ৪০ টনেরও বেশি মিথাইল আইসোসায়ানেট গ্যাস লিক হয়েছিল, এর ফলে হাজার হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটে। প্রতিটি ধরণের দূষণ এবং সেটি শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকারক হতে পারে সে সম্পর্কে মানুষের সচেতন হওয়া জরুরি। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হল সংবেদনশীল করা, মানুষকে শিক্ষিত করা এবং শিল্পগুলিতে দূষণ সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া।

যেকোনও ধরনের দূষণ মোকাবেলা করার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দূষণ এড়ানোর জন্য সকলের প্রতিরোধ পদ্ধতি সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। নিকটবর্তী এলাকায় বায়ু দূষণের মতো ঘটনা ঘটলে ঘরের ভিতরেই দরজা-জানালা বন্ধ করে থাকা উচিত। দূষণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বাইরে ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এই সময় ঘরের বাইরে থাকাকালীন মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি। দূষণ যাতে বৃদ্ধি না পায় তার জন্য পটকা ব্যবহার সীমিত বা বন্ধ করা উচিত। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাবলিক পরিবহন ব্যবহার করা, গাছ লাগানোর মতো পরিবেশ বান্ধব বিকল্প বেছে নেওয়া জরুরি।