প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর পালন করা হয় শিশু দিবস। পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মবার্ষিকীতে পালন করা হয় শিশু দিবস। শিশুদের সুখ, অধিকার এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গঠনের বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হয় এই দিনে। এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল শিশুদের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের নিরাপদ, সুখী এবং শিক্ষায় ভরপুর জীবন দেওয়ার জন্য কাজ করা। ভারতে পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে পালন করা শুরু হয়েছিল শিশু দিবস। পন্ডিত জওহরলাল নেহরু শিশুদের কাছে 'চাচা নেহেরু' নামে পরিচিত ছিলেন। শিশুদের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল পন্ডিত নেহরুর এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাঁর দৃষ্টিতে, শিশুদের একটি সুশিক্ষা এবং একটি সুস্থ জীবন দিতে হবে, যাতে তারা ভবিষ্যতে সমাজ ও দেশের উন্নতিতে অবদান রাখতে পারে।
১৯৫৪ সালে ২০ নভেম্বরকে আন্তর্জাতিক শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ। প্রতি বছর ২০ নভেম্বর সারা বিশ্বে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক শিশু দিবস। কিন্তু ভারতে পন্ডিত নেহরুর জন্মবার্ষিকীতে শিশু দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিশু দিবস পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল শিশুদের অধিকার রক্ষা করা, তাদের নিরাপদ পরিবেশ প্রদান করা এবং তাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। শিশু দিবসে শিশুদের প্রতি ক্রমবর্ধমান অত্যাচার, শিশুশ্রম এবং শিক্ষার অভাবের মতো সমস্যাগুলির বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই দিনটি শিশুদের আনন্দের পাশাপাশি তাদের অধিকারের প্রতি সমাজে দায়বদ্ধতার প্রতীক।
পন্ডিত নেহেরু বিশ্বাস করতেন যে শৈশবে শিশুদের সঠিক নির্দেশনা এবং ভালবাসা দেওয়া উচিত। তাঁর মতে, শিশুদের কোনও বৈষম্য ছাড়াই স্বাধীনভাবে শেখার ও বেড়ে ওঠার অধিকার রয়েছে। পন্ডিত নেহেরু সবসময় শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে শিশুদের মধ্যে নির্দোষ, সত্য এবং আনুগত্য রয়েছে, যা বৃদ্ধদেরও অনুপ্রাণিত করে। শিশু দিবস শিশুদের অধিকারের যেমন তাদের সুশিক্ষার অধিকার, শিশুশ্রম থেকে সুরক্ষা এবং নিরাপদ ও প্রেমময় পরিবেশে বেড়ে ওঠার অধিকারের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। ভারতে শিশু সুরক্ষা আইন এবং প্রতিষ্ঠানগুলি শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করছে, যার উদ্দেশ্য শিশুদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা।