Durga Puja 2019: বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের বদলে মহালয়া পাঠ করলেন উত্তম কুমার! জনগন বলেছিল 'সুপার ফ্লপ'

আকাশবাণী কলকাতা (akashbani Kolkata) থেকে ১৯৩১ সালে প্রথম শুরু হয় মহালয়ার (Mahalaya) সরাসরি সম্প্রচার (Live Telecast)৷ ১৯৬৫ পর্যন্ত সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমেই বাংলার মানুষ শুনতে পেতেন 'মহিষাসুরমর্দিনী (Mahisasuamardini)৷' তারপর আগে থেকে রেকর্ড করে রাখা মহালয়ার অনুষ্ঠান চালানো হত মহালয়ার দিনে৷ আজও সেই পরম্পরাই চলছে৷ রেডিওতে (Radio) মহালয়া না শুনলে যেন বাঙালির ঘরে পুজো আসে না ৷ আর মহালয়া মানেই সেই পরিচিত কণ্ঠ, পরিচিত সুর, গলার ওঠা-নামা, বিশুদ্ধ সংস্কৃত উচ্চারণ। মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Virendra Krishna Bhadra) গলায় মহিষাসুরমর্দিনীর কোনও বিকল্প হতে পারে না৷ যার কারণে ১৯৭৪ সালে মহালয়ার প্রভাতী অনুষ্ঠানে ভ্যারিয়েশন আনতে গিয়ে চরমভাবে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ। সেবার বাংলার সর্বকালের সেরা অভিনেতা (Legend Bengal Actor) উত্তম কুমারকে (Uttam Kumar) দিয়ে মহালয়ার অনুষ্ঠান রেকর্ড করিয়েও জনগনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে মিলেছিল 'সুপার ফ্লপ (Super Flop)।'

ফাইল ছবি

আকাশবাণী কলকাতা (akashbani Kolkata) থেকে ১৯৩১ সালে প্রথম শুরু হয় মহালয়ার (Mahalaya) সরাসরি সম্প্রচার (Live Telecast)৷ ১৯৬৫ পর্যন্ত সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমেই বাংলার মানুষ শুনতে পেতেন 'মহিষাসুরমর্দিনী (Mahisasuamardini)৷' তারপর আগে থেকে রেকর্ড করে রাখা মহালয়ার অনুষ্ঠান চালানো হত মহালয়ার দিনে৷ আজও সেই পরম্পরাই চলছে৷ রেডিওতে (Radio) মহালয়া না শুনলে যেন বাঙালির ঘরে পুজো আসে না ৷ আর মহালয়া মানেই সেই পরিচিত কণ্ঠ, পরিচিত সুর, গলার ওঠা-নামা, বিশুদ্ধ সংস্কৃত উচ্চারণ। মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Virendra Krishna Bhadra) গলায় মহিষাসুরমর্দিনীর কোনও বিকল্প হতে পারে না৷ যার কারণে ১৯৭৪ সালে মহালয়ার প্রভাতী অনুষ্ঠানে ভ্যারিয়েশন আনতে গিয়ে চরমভাবে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ। সেবার বাংলার সর্বকালের সেরা অভিনেতা (Legend Bengal Actor) উত্তম কুমারকে (Uttam Kumar) দিয়ে মহালয়ার অনুষ্ঠান রেকর্ড করিয়েও জনগনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে মিলেছিল 'সুপার ফ্লপ (Super Flop)।' উত্তম প্রেমের আবেগের থেকেও সেদিন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-র নস্ট্যালজিয়া (Nostangia)৷

যদিও সেবার মহালয়ার প্রভাতী অনুষ্ঠানের আয়োজনে গ্ল্যামারের (Glamour) কোনরকম খামতি রাখেননি আকাশবাণীর কর্মকর্তারা। ভ্যারিয়েশন হিসেবে উত্তম কুমারের কণ্ঠে মহালয়া পাঠ ছাড়াও রাখা হয়েছিল কলকাতা (Kolkata) ও বম্বের (Bombay) নামি দামি বেশ কিছু শিল্পীদের (artists)। ১৯৭৪ সালে ‘মহিষাসুরমর্দিনী-র পরিবর্তে সেবার শোনানো হয়েছিল‘দুর্গতিহারিণী (Durgatiharini)।’ স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন ধ্যানেশ নারায়ণ চক্রবর্তী (Dhanesh Narayan Chakrabarty)। সুর দিয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (Hemanta Mukhopadhyay)। গান গেয়েছিলেন- লতা মঙ্গেসকর, আশা ভোঁসলে, মান্না দে’র মতো শিল্পীরা। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বসন্ত চৌধুরী, বাচিক শিল্পী পার্থ ঘোষ-গৌরী ঘোষ, তৎকালীন দক্ষ সংবাদ পাঠিকা ছন্দা সেন প্রমুখরা। তাছাড়াও সংস্কৃত স্তোত্র পাঠ করেছিলেন তখনকার নামী স্তোত্র গায়িকা মাধুরী মুখোপাধ্যায়। কিন্তু জনগণ তা গ্রহণ করেননি। ফের ফিরিয়ে আনতে হয়েছিল বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রকেই৷ আরও পড়ুন- Durga Puja 2019: আড্ডা টাইমসের নতুন নিবেদন; অন্য উন্মাদনা নিয়ে 'ফিউরর' পাড়ি জমাবে ২৭ সেপ্টেম্বর

বাঙালির অস্থি-মজ্জায় জড়িয়ে রয়েছে এই ‘মহিষাসুরমর্দিনী’৷ যার রচয়িতা বাণীকুমার (Bani Kumar)। সুরকার পঙ্কজকুমার মল্লিক (Pankaj Kumar mallik)। ভাষ্যকার বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। এর বিকল্প নেই...হবেও না। শরতের ঠান্ডা আমেজ, শিউলি ভেজা সকাল আর জলদগসম্ভীর স্বরে রেডিও থেকে ভেসে আসা ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে...৷’বাঙালির বাতায়নে (window) অকালেও শরত পৌঁছে দেবে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now