Photo Credits: Pixabay

একদিকে যখন আমরা ইন্টারনেটের গতির সঙ্গে দ্রুত এগোচ্ছি, অন্যদিকে তাঁর ফলে ঝুঁকি ও ত্রুটির আশঙ্কাও ক্রমাগত বাড়ছে। আজ, শিশুদের হাতে মোবাইল পৌঁছানোররসঙ্গে সঙ্গে  ইন্টারনেটে তাদের পর্ণের অ্যাক্সেস খুব সহজ হয়ে গেছে। এ কারণে তাদের ভুল পথে চলার আশঙ্কাও অনেক বেড়ে গেছে।আজকে প্রয়োজন অনুযায়ী, অভিভাবকরা বাচ্চাদের হাতে ফোন দেন, কিন্তু ভয় থাকে যে তারা এমন কোনও বিষয়বস্তু দেখছে না যা তাদের জন্য উপযুক্ত নয়। অনেক রিপোর্টে এটাও উঠে এসেছে যে শিশুদের মধ্যে পর্ন আসক্তি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যার কারণে তাদের মস্তিষ্ক খারাপভাবে প্রভাবিত হয়।

আজ ফোনের এমন কিছু সেটিংস সম্পর্কে জানাব যা দিয়ে অভিভাবকরা শিশুদের প্রাপ্তবয়স্কদের সামগ্রীতে অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করতে পারবেন।

অ্যান্ড্রয়েডে প্রাপ্তবয়স্কদের সামগ্রী কীভাবে ব্লক করবেন?

পদ্ধতি ১ - গুগল প্লে সীমাবদ্ধতা

আপনার ফোনটিকে বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ করতে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কন্টেন্ট থেকে আপনার বাচ্চাদের রক্ষা করতে, আপনাকে প্রথমেই Android-এ Google Play সীমাবদ্ধতা চালু করতে হবে। এটি শিশুকে এই ধরনের অ্যাপ, গেম এবং অন্যান্য ওয়েব রিসোর্স ডাউনলোড করতে বাধা দেবে যা তার বয়সের জন্য উপযুক্ত নয়।

১) এর জন্য প্রথমে ফোনের ডিভাইসে গুগল প্লে স্টোরে যান।

২) এর পরে বাম কোণে সেটিংসে যান।

৩) এর পরে আপনি 'প্যারেন্টাল কন্ট্রোল' বিকল্পটি পাবেন।

৪) এটিতে আলতো চাপলে আপনাকে একটি পিন সেট করতে বলা হবে। অভিভাবকরা একটি পিন সেট করে অভিভাবকীয় নিয়ন্ত্রণ সেটিং পরিবর্তন করতে পারেন।

৫) একবার পিন সেট হয়ে গেলে, আপনি প্রতিটি বিভাগের জন্য স্টোর ভিত্তিক বয়স রেটিং এর উপর ভিত্তি করে সীমাবদ্ধতা সেট করতে পারেন। আপনাকে শুধু মনে রাখতে হবে যে আপনি এই পিনটি আপনার সন্তানকে বলবেন না।

দ্বিতীয় পদ্ধতি- ক্রোমে নিরাপদ অনুসন্ধান চালু করুন

অনুপযুক্ত বিষয়বস্তু ব্লক করার আরেকটি উপায় হল Android-এ Google Safe Search বৈশিষ্ট্য চালু করা। এটা নিশ্চিত করা ভাল যে বাচ্চারা যখন Google Chrome অ্যাপ ব্যবহার করে ওয়েব ব্রাউজ করে, তখন তারা যাতে ভুলবশত যেন কিছু করে না ফেলে।

১) এটি চালু করতে প্রথমে Chrome এ যান।

২) এখন উপরের ডানদিকে কোণায় তিনটি বিন্দুতে আলতো চাপুন।

৩) নতুন উইন্ডো থেকে সেটিংস নির্বাচন করুন।

৪) Advanced বিভাগে গিয়ে Privacy-এ যান।

৫) এখান থেকে নিরাপদ ব্রাউজিং চালু করুন।

তৃতীয় উপায়:- প্লে স্টোরে অনেক প্যারেন্টাল অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি ফোনটিকে শিশুদের জন্য নিরাপদ করতে পারবেন।