Birsa Munda: প্রান্তিক মানুষের অধিকার অর্জনের লড়াইয়ের আর এক নাম বিরসা মুন্ডা। সমাজ সংস্কারক বিরসা মুন্ডার (Birsa Munda) আজ প্রয়াণ দিবস (Death Anniversary) । বিরসা সমাজ সংস্কারক হিসাবে প্রচুর সম্মান অর্জন করেছিলেন, তবে ব্রিটিশদের অত্যাচার বেড়ে যাওয়ায় তিনি হাতে অস্ত্র তুলে নেন। মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান নেতা হয়ে ওঠেন বিরসা।
মুন্ডা বিদ্রোহের সময়কাল ১৮৯৯ থেকে ১৯০০ সাল। সে সময় আদিবাসীদের জীবন বঞ্চনায় ভরা ছিল। খাওয়ার মতো খাবার ছিল না, পরার মতো কাপড়ও ছিল না। একদিকে দারিদ্র্য, অন্যদিকে 'ভারতীয় বন আইন ১৮৮২' প্রয়োগে তাঁদের বনভূমি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। যে বনভূমিতে তাঁদের প্রাণ, সেই বন থেকেই তাঁদের উচ্ছেদ করা হচ্ছিল। ব্রিটিশরা ঔপনিবেশিক ব্যবস্থায় সামন্ততান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চেয়েছিল। তাঁরা একে একে অরণ্যের জমি দখল করতে থাকে। তা দেখে বিরসা মুন্ডা বাঁশি ছেড়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। বিরসা মুন্ডা তাঁর অনুগামীদের কাছে 'ধরতি আবা' অর্থাৎ ভগবান হয়ে উঠেছিলেন।
এদিকে বৃটিশ সরকার বিরসাকে ধরার জন্য টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেন, কিছু মানুষ টাকা এবং পেট ভরে ভাত খেতে পাওয়ার লোভে বিরসাকে ধরিয়ে দেয়। ১৯০০ সালের ৯ জুন মাত্র ২৫ বছর বয়সে রাঁচি জেলে বিষপ্রয়োগের ফলে বিরসা মুন্ডার মৃত্যু হয়। জেলের রিপোর্টে বলা হয় রক্ত বমি এবং আমাশার কারণে বিরসার মৃত্যু হয়।