এ বছর ৩ নভেম্বর পড়েছে ভাইফোঁটা (Bhai Phonta)। প্রত্যেক বছরের মত এবারও ভাইফোঁটা নিয়ে বোনেদের বাড়িতে তো়জোড় চলছে। প্রত্যেক বছর কার্তিক মাসের শুক্লা প্রতিপদ থেকে ভাইফোঁটা শুরু হয়। চলে দ্বিতীয়া তিথি পর্যন্ত। জানা যায়, মৃত্যু দেবতা যমরাজ তাঁর বোন যমুনার কাছে ফোঁটা নিয়েছিলেন। সেই থেকেই ভাইফোঁটার রীতি প্রচলিত। ভাইফোঁটার অন্য একটি মতের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শ্রীকৃষ্ণের নাম। শ্রীকৃষ্ণ এক অসুরকে বধ করেছিলেন। সেই অসুরকে বধের পর শ্রীকৃষ্ণ বোন সুভদ্রার হাত থেকে ফোঁটা নিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। বোন সুভদ্রার হাত থেকে শ্রীকৃষ্ণ ফোঁটা নেওয়ার পর থেকে ভাইফোঁটার চল শুরু হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।
ভাইফোঁটায় কেউ দইয়ের ফোঁটা দেন ভাইয়ের কপালে। কেউ দেন চন্দনের ফোঁটা। আবার কেউ ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় তাঁকে পরিয়ে দেন কাজলের ফোঁটা।
ভাইফোঁটায় এই ৩ ধরনের ফোঁটার কারণ নিয়ে বেশ কিছু গল্প রয়েছে। তবে দই শুভ। তাই দইয়ের ফোঁটা পরিয়ে ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করেন বোনরা। চন্দন শরীর ঠাণ্ডা রাখে। তাই ভাইফোঁটায় অনেকে ভাইকে চন্দনের ফোঁটা পরান কপালে। আবার কেউ কেউ ভাইকে কাজলের টিপ পরিয়ে দেন কপালে কুনজর থেকে রক্ষা করতে। তবে ভাইফোঁটায় সবচেয়ে বেশি চন্দনের ফোঁটা পরানোর রীতিই প্রচিলত রয়েছে বাঙালির ঘরে।