বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, ডব্লিউএইচও-র দেওয়া সতর্ক বার্তা অনুযায়ী, কিশোর কিশোরীদের মধ্যে অ্যালকোহল এবং ই-সিগারেটের অতিরিক্ত ব্যবহার হতে পারে বিপজ্জনক। সতর্ক করার পাশাপাশি এইগুলো সহজেই পাওয়ার বিষয়ে নজর দিয়ে সীমিত করার ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে WHO। ইউরোপ, মধ্য এশিয়া এবং কানাডা মিলিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ১১-১৫ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের উপর একটি সমীক্ষা করা হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে, WHO বলেছে, তরুণদের মধ্যে অতিরিক্ত অ্যালকোহল এবং ই-সিগারেট ব্যবহার উদ্বেগের বিষয়।
সমীক্ষায় ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ কিশোর কিশোরী একবার হলেও অ্যালকোহল পান করেছে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে অ্যালকোহল পান করার প্রবণতা বেশি পাওয়া গিয়েছে। ছেলেদের মধ্যে এই সংখ্যা ৫৬ শতাংশ হলেও মেয়েদের মধ্যে এই সংখ্যা ছিল ৫৯ শতাংশ। এই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ১১ বছর বয়সী ৮ শতাংশ ছেলেরা এবং ৫ শতাংশ মেয়েরা ৩০ দিনে একবার হলেও অ্যালকোহল পান করেছে। ১৫ বছর বয়সী ৩৬ শতাংশ ছেলেরা এবং প্রায় ৩৮ শতাংশ মেয়েরা ৩০ দিনে একবার হলেও অ্যালকোহল পান করেছে। সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে বয়স বাড়ার সঙ্গে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে অ্যালকোহল পান করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সমীক্ষায় অ্যালকোহলের পাশাপাশি কিশোর কিশোরীদের মধ্যে ই-সিগারেট ক্রমবর্ধমান ব্যবহারও তুলে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে ২০২২ সালে, ১১-১৫ বছর বয়সীদের ১৩ শতাংশ ধূমপান করেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই ই-সিগারেটের ব্যবহার করে, যার কারণে অনেক কিশোর-কিশোরীরা সিগারেট ছেড়ে দিয়েছে। ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায় ৩২ শতাংশ ব্যবহার করেছে ই-সিগারেট। অ্যালকোহল এবং ধূমপান সম্পর্কিত বস্তু সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে বলেই বর্তমানে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে এই সংখ্যা উঠে এসেছে। পরবর্তী সময়ে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। তাই অ্যালকোহল ও ধূমপানের মাধ্যমে হওয়া ক্ষতির হাত থেকে শিশু এবং যুবকদের রক্ষা করার জন্য নীতি ব্যবস্থা আরও কঠোর করার সুপারিশ করেছে WHO।