মথুরা, ৮ জুলাই: যমুনাজির (Yamuna) দিব্যি দিয়ে সমানে মিথ্যে বলে যাচ্ছেন। ভোট সামনে এলে, প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়। অথচ ভোট মিটলেই কারও দেখা মেলে না। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সরকারি অফিসার, যমুনা পরিষ্কার করার দায় যেন কারও নেই। এবার এভাবেই তোপ দাগলেন মথুরার একাধিক পুরোহিত (Mathura Priests)।
তাঁদের দাবি, ভোটের (Vote) সময় এলে সরকারি অফিসার থেকে রাজনৈতিক নেতা, সবার দেখা পাওয়া যায়। ভোট মিলে গেলে, যমুনা পরিষ্কারের কথা কারও মনে থাকে না। এভাবেই দিনের পর দিন চলছে। তাই এবার তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যমুনা নদী পরিষ্কার করা না হলে, তাঁরা কেউ কোনও রাজনৈতিক নেতা বা সরকারি অফিসারকে প্রবেশ করতে দেবেন না।
বড় বড় কথা যাঁরা বলেন, তাঁরা ভুরি ভুরি মিথ্যে আওড়ান। যমুনাজির দিব্যি দিয়ে আর এই ধরনের মিথ্যে কথা বলা যাবে না। যে 'অপরাধীরা' এই ধরনের কাজ করেন, তাঁদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেন রাধে শ্যাম নামে স্থানীয় এক পুরোহিত। যমুনাজির দিব্যি দিয়ে সব মিথ্যে প্রচার করা হয়। ওঁরা মিথ্যেবাদী। কোনও কথা রাখেন না। তাই যমুনার ঘাটে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা সরকারি অফিসারকে পুজো করতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানান স্থানীয় পুরোহিত সংগঠনের সদস্যরা।
ব্যানার, পোস্টার লাগিয়ে এবার যমুনা বাঁচাওয়ের প্রচার শুরু করেছেন পুরোহিতরা। যতক্ষণ না পর্যন্ত যমুনা নদীকে দূষণ মুক্ত করা হচ্ছে, তাঁদের এই প্রতিবাদ চলেব বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরে দূষণের জেরে, যমুনা নদীর জল কার্যত বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই ওই জল খেতে বাধ্য হন। এমনকী, অনেকে ওই দূষিত জলে ডুব দিয়ে স্নানও করেন। অখিল ভারতীয় তীর্থ পুরোহিত মহাসভার তরফে জানানো হয়, দিনের পর দিন ধরে যমুনা নদীর জল বিষাক্ত হয়ে উঠছে। স্থানীয় প্রশানের তরফে কংগ্রেসের (Congress) তরফে যমুনার জল একটি জারে ভরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি (BJP) সরকার এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না। যমুনা নদী বাঁচাতে বিজেপি নেতারা কোনও উদ্যোগ দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয় কংগ্রেসের তরফে।