BS Yediyurappa: বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর গলায় পদত্যাগের অভিমান, থেকে যাওয়ার জেদ

যেতে পারি, কিন্তু যাবো! কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা-র কথা শুনে এমনই মনে হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেয়ে রাজ্যবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়া কর্ণাটকে ইয়েদুরাপ্পার সরকার দলের অন্দরেই কাঠগড়ায়। কর্ণাটকর বিজেপি-র হাইপ্রোফাইল নেতারা চাইছেন ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে রাজ্যবাসীর ক্ষোভ সামলানো হোক।

বিএস ইয়েদুরাপ্পা (Photo Credit: PTI)

বেঙ্গালুরু, ৬ জুন: যেতে পারি, কিন্তু যাবো! কর্ণাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা (CM BS Yediyurappa) -র কথা শুনে এমনই মনে হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেয়ে রাজ্যবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়া কর্ণাটকে ইয়েদুরাপ্পার সরকার দলের অন্দরেই কাঠগড়ায়। কর্ণাটকর বিজেপি-র হাইপ্রোফাইল নেতারা চাইছেন ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে রাজ্যবাসীর ক্ষোভ সামলানো হোক। ইয়েদি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ দলের অন্দরেই এত চরমে যে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দিল্লিতে দলের শীর্ষনেতাদের কাছে চিঠি লিখেছেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই ইয়েদুরাপ্পাকে সরানোর জন্য দলের অন্দরেই ঝড় উঠেছে। রাজ্যস্তরের ঝড় গিয়ে পড়েছে দিল্লিতেও। আরও পড়ুন: সোমবার থেকে যে সব রাজ্য আনলক শুরুর পথে

ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইপি যোগেশ্বরা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পাচিল ইয়াতনাল সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক। কর্ণাটকে বিজেপির প্রথম মুখ্যমন্ত্রী তথা অভিজ্ঞ নেতা ইয়েদুরাপ্পা-র বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ তিনি আর সরকার চালাতে পারছেন না। ইয়েদুরাপ্পা দল বা সরকার চালাচ্ছেন না, নেপথ্যে থেকে তাঁর ছেলে সরকার চালাচ্ছেন। বিজেপি-র অন্দরেই আওয়াজ উঠেছে, কর্ণাটকে বিজেপি শাসন ধরে রাখতে হলে ইয়েদুরাপ্পাকে সরাতেই হবে। যা নিয়ে ইয়েদুরাপ্পা আজ বলেন, ''রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী বা বিধায়কের কথা শুনে আমি সরব না, দলের হাইকমান্ড-শীর্ষ হয়ে নেতৃত্ব যেদিন বলব আমি পদ থেকে সরে দাঁড়াবো।

উপমুখ্যমন্ত্রী সিএন অশ্বথনারায়ন ইয়েদুরাপ্পা পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ওঁর সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই নেই। ওনার সরে দাঁড়ানো নিয়ে কোনও আলচোনা হয়নি। রাজ্যের কঠিন সময়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।" ক মাসে আগেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বদল করে বিজেপি। ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের পরবির্তে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় তিরথ সিং রাওয়াতকে। তবে কর্ণাটকে এখনও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেই দিল্লির বিজেপি নেতারা মনে করছেন।