Representational Image

প্রেমিকা বা স্ত্রীকে অন্যজনের সঙ্গিনীর সঙ্গে বদলে দেওয়ার এক ভয়ংকর সেক্স ব়্যাকেট সামনে এসেছে গতকাল। সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশিত হয় যে চেন্নাইয়ের ইস্ট কোস্ট রোডের (ECR) পানিউরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্ত্রী অদলবদল চলছে। তবে আদতে যে  স্ত্রী অদলবদল পার্টির নামে একটি যে সেক্স র‍্যাকেট তা ফাঁস করেছে চেন্নাই পুলিশ। গত আট বছরে চেন্নাইয়ের পাশাপাশি কোয়েম্বাটোর, মাদুরাই, সালেম এবং ইরোডের মত  টায়ার-টু শহরগুলিতে এই জাতীয় পার্টি আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যেই আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ চেন্নাইয়ের ইস্ট কোস্ট রোডে অভিযানে গেলে বিভিন্ন ঘরে ছেলে-মেয়েদের দেখতে পায়। পরে এই মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসল ঘটনা কি?

'টাইমস অফ ইন্ডিয়া'-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তে জানা গেছে যে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তদের  মধ্যে রয়েছে - সেন্থিল কুমার, কুমার, চন্দ্রমোহন, শঙ্কর, ভেলরাজ, পেরাসান, সেলভান এবং ভেঙ্কটেশ কুমার। এই পুরুষরা প্রথমে অবিবাহিত পুরুষদের টার্গেট করে এবং তারপর কিছু মহিলাকে তাদের স্ত্রী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়। তখন তাদের 'ওয়াইফ সোয়াপিং' নামে পার্টনার বদল করতে উৎসাহিত করা হয়।

একজন তদন্তকারী অফিসার বলেন, "এই চক্রটি স্ত্রী-অদলবদল করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ তৈরি করেছিল এবং পুরুষদের ১৩০০০থেকে ২৫০০০ টাকার প্রলোভনও দিয়েছিল।" তাদের আরও বলা হয়েছিল যে যত বেশি টাকা দেবে, তত বেশি মহিলা তাদের সঙ্গে থাকবে।ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার ছাড়াও, অ্যান্টি-ভাস স্কোয়াড কর্মকর্তারা সোমবার ভোরে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী বেশ কয়েকজন মহিলাকে উদ্ধার করে। তারা সকলেই বিবাহিত মহিলা, কিন্তু অদলবদল পার্টির জন্য মোটা অঙ্কের অর্থের প্রলোভন পেয়ে এসেছিলেন।

এদিকে, যে বাড়িতে এই দেহব্যবসা চলছিল সেখানে প্রতিবেশীদের নজরদারির কারণেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গভীর রাতের পরেও প্রচুর লোক বাড়িতে আসছে এবং উচ্চস্বরে গান চলছে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়।ঘটনার খবর পেয়ে ইন্সপেক্টর এনএস কুমারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পানিউর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তারা কয়েকজন মধ্যবয়সী যুবককে নারীদের সঙ্গে আলাদা একটি কক্ষে দেখতে পান। এই মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং মুক্তিপ্রাপ্ত নারীদের লিখিত সম্মতি দিয়ে তাদের পরিবারের সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।গ্রেফতার হওয়া আটজনকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার পর তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।