নতুন দিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর: নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণ করেই ফের তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দিতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। ক দিন আগেই আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে জামিন পেয়ে জেল থেকে শর্তসাপেক্ষে বের হওয়া কেজরিওয়াল এমন ঘোষণা করে রাজনৈতিক মহলে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটালেন। দিল্লিতে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেজরির ইস্তফা নতুন মাত্রা যোগ করল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপ সমর্থকরা কেজরির এই সিদ্ধান্তকে মাস্টার-স্ট্রোক, আর বিজেপি নেতারাটি এটিকে নেহাতই সস্তা প্রচার বলে কটাক্ষ করলেন।
দিন দুয়েকের মধ্যেই আপ বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে বেছে নেবে আম আদমি পার্টি। জেল থেকে বেরিয়ে এসে তিনি অগ্নিপরীক্ষায় বসতে চান। মানুষ তাঁকে সততার সার্টিফিকেট দিলে তবেই ফের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন বলে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু মাস তিনেক এগিয়ে এনে চলতি বছর নভেম্বরেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। আপ চায়, আগেই ভোট করে মানুষের রায় নিয়ে কেজরিওয়াল ফের ক্ষমতায় বসুন। ক মাস আগে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে প্রচার করেও লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে একটি আসনেও আপ তথা ইন্ডিয়া প্রার্থীদের জেতাতে পারেননি কেজরি। দুর্নীতি ইস্যুতে জেল খাটায় তাঁর স্বচ্ছতার ভাবমূর্তিতে যে ধাক্কা খেয়েছে সেটা বুঝতে পেরে পদত্যাগ করে নতুন করে শুরু করতে চান কেজরিওয়াল। দিল্লির মানুষ যে গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনের মতই তাঁর পক্ষেই বিপুলভাবে রায় দেবেন সেটা নিয়েও নিশ্চিত আপ প্রধান।
আর তাই কেজরির পরিবর্তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে যে বসুন, তিনি বড়জোড় মাস দুয়েকের জন্য কুর্সিতে থাকতে পারেন। দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ফেভারিট হিসেবে মূলত তিনজন আপ বিধায়কের নাম ভাসছে, তাঁরা হলেন -১) অতশী-এখন তিনি দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী। কেজরির গ্রেফতারির পর দারুণভাবে সক্রিয় হন। পথে নামেন। শীলা দীক্ষিতের পর এই দিল্লিতে ফের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীহওয়ার পাল্লা ভারী। কেজরিওয়ালের পছন্দের পাত্রী, ২) কৈলাশ গেহলেট (পরিবহণ, আইনমন্ত্রী), ৩) গোপাল রাই (পরিবেশমন্ত্রী)। সঙ্গে আরও দুটি নাম ভাসছে তাঁরা হলেন সৌরভ ভরদ্বাজ (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) ও ইমরান হুসেন (খাদ্যমন্ত্রী)।