Medical students stage a demonstration against the recent attacks on doctors in Kolkata (Photo Credits: IANS)

নয়া দিল্লি, ১৪ জুন: নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ (NRS)-এ আন্দোলনরত চিকিৎসককদের পাশে দাঁড়াল দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী সংগঠন। দেশের বিভিন্ন অংশের চিকিৎসকরা- NRS-এ আন্দোলনরত সহকর্মীদের সমর্থনে আজ কর্মবিরতিতে যোগ দিচ্ছেন। ফলে দেশজুড়ে আজ স্বাস্থ্যপরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। NRS-চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কালো ব্যাচ পরে দেশের বিভিন্ন অংশে প্রতিবাদ জানাবেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)-র সদস্যরা।

IMA-র শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ গিয়েছে তাদের প্রতিটি রাজ্য শাখায় যাতে কালো ব্যাচ পরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।  IMA-র সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে চিঠি লিখে হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলায় কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। । আরও পড়ুন- রাজ্যসরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, খুব শিগগির সুপারিশ করবে ষষ্ঠ বেতন কমিশন

এদিকে, NRS কাণ্ডে দীর্ঘক্ষণ চুপ থাকার ৬০ ঘণ্টা পর মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্কট কাটাতে মমতা চরম পথে হেঁটে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কার্যত হুমকি দিয়ে সময়সীমা বেঁধে কাজে ফিরতে বলেন। এদিকে, নীলরতন কলেজে জুনিয়ার ডাক্তারদের ওপর হামলার ঘটনা দেশ ছড়িয়ে বিদেশে প্রভাব ফেলল।

NRS-এ ডাক্তারদের ওপর হামলার নিন্দা করল World Medical Association বা বিশ্ব মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। WMI সভাপতি বলেন,'স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে হিংসার প্রবণতা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। যা একেবারেই প্রত্যাশিত নয় এই ধরনের ঘটনার নিন্দা করা উচিত। ভারতে সম্প্রতি যা ঘটেছে, তা কাম্য নয়। হাসপাতালে কোনওরকম হিংসা কাম্য নয়'। NRS-এ আজ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চতুর্থ দিনে পড়ল। মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারিতে হিতে বিপরীত হয়। নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনরত ডাক্তারদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হন রোগী ও তার পরিবারের লোকেরা।

কলকাতার এক টিভি চ্যানেলে এসে গতকাল রাতে মমতা বলেছিলেন,''চিকিৎসকদের কাজ না-করার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। তাঁরা এটা করতে পারেন না। আমার আবেদন, ওঁরা আন্দোলন তুলে নিন।''তবে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে এসে কথা না বলে যা হুমকি দিচ্ছেন, তাতে সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে।

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালের ১৫ জনের বেশি চিকিৎসক ইস্তফা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর 'বহিরাগত' মন্তব্যে নজিরবিহীনভাবে একসঙ্গে ৬৭ জন চিকিত্সক গণইস্তফা দেন সিউডির চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের দাবি, এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বহিরাগত বলে অপমানিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত।