লখনউ, ১৫ জুলাইঃ ধুমধাম করে বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন পাত্র। কিন্তু ফিরতে হল খালি হাতে। গন্তব্যে গিয়ে খুঁজে পেলেন না বিয়ের আসর। কনের পরিবারের কারুর দেখা মিলল না। রবিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উন্নাও জেলা নিবাসী সনু বরযাত্রী নিয়ে লখনউয়ের (Lucknow) রহিমাবাদ এলাকায় বিয়ে করতে আসেন। কিন্তু বহু খোঁজাখুঁজির পরেও হবু বর কনের বাড়ি কিংবা বাড়ির কারুর হদিস পেলেন না। শেষমেশ বউ ছাড়া খালি হাতেই ফিরতে হল পাত্রকে।
বরযাত্রী নিয়ে ফিরে আসা পাত্র সনু জানাচ্ছেন, চণ্ডীগড়ে কাজল নামে একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। সেই মতো কাজলের বাবা শেষপালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন সনু। তাঁকে জানান, কাজলকে তিনি বিয়ে করতে চান। বিয়েতে সম্মতিও দেন কাজলের বাবা। ফোনে ফোনেই বিয়ের পাকা কথা হয়। বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল ১৫ জুলাই। রহিমাবাদ এলাকায় কাজলের বাড়িতে আয়োজন করা হয় বিয়ের আসর। ১৪ জুলাই কাজলের সঙ্গে ফোনে শেষবার কথা হয় সনুর। কাজল জানায় বিয়ের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। কেবল বরযাত্রী নিয়ে সনুর আসার অপেক্ষা।
বিয়ের দিন সকাল থেকেই কাজলের ফোন সুইচ অফ। তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ সনুর। তবে বরযাত্রী নিয়ে রওনা দেন পাত্র। সময় মতো পৌঁছে যান কাজলের দেওয়া ঠিকানায়। অথচ গিয়ে দেখা গেল কোথাও কিছুই নেই। নেই কোন বিয়ের আয়োজন। নেই কনেপক্ষ। কাজল এবং তাঁর বাবা শেষপালের সঙ্গে বারেবারে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন সনু। কিন্তু লাভ হয়নি। দুজনেরই ফোন সুইচ অফ ছিল। এরপর স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে সনু জানতে পারেন, কাজল কিংবা শেষপাল নামে ওই এলাকায় কেউ থাকে না।
বিয়ের আয়োজন করে পাত্রীপক্ষের নিখোঁজ হওয়ার একটি মামলা দায়ের করেছেন সনু। , লখনউ পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আকাশ কুলহারি জানাচ্ছেন, ঘটনার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কাজল এবং তাঁর পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে যারা বিয়ের আয়োজন করে বরযাত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিখোঁজ হয়েছে'।