লখনউ, ৮ এপ্রিল: সংক্রমণ এড়াতে বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা ১৫টি জেলাকে সিল করার নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। বুধবার রাত ১২টা থেকেই সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ওই ১৫টি জেলা। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ওই জেলাগুলি পুরোপুরি সিল থাকবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংক্রামিত জেলার বাড়িগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। ১৫ এপ্রিল জেলাগুলির পরিস্থিতি দেখবে রাজ্য সরকার। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ১৫টি জেলা হল, নয়ডা, গাজিয়াবাদ, সাহারানপুর, মেরঠ, লখনউ, আগ্রা, কানপুর, বারাণসী, শামলি, বরেলি, বস্তি, বুলন্দশহর, ফিরোজাবাদ, মহারাজগঞ্জ, সীতাপুর। আজ মধ্যরাত থেকে কোনও সাধারণ মানুষ এই এলাকায় ঢুকতে বা এলাকা থেকে বেরতে পারবে না।
একমাত্র চিকিৎসা কর্মী ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বোঝাই গাড়ি নিয়ে চালক পৌঁছাবেন এইসব জেলায়। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৬৭টি জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব আরকে তিওয়ারি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “১৫ জেলায় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ মারাত্মক। তাই সংক্রামিত এলাকা সিল করা হবে। শুধু হোম ডেলিভারি মেডিক্যাল টিম সেখানে যেতে পারবে। মূলত গোষ্ঠী সংক্রমণ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” গৌতমবুদ্ধ নগরের জেলাশাসকের তরফে থেকে আবাদেন করা হয়েছে যে মানুষ যেন আতঙ্কিত না হয়ে পড়ে। জেলা বন্ধ হলেও সব জায়গায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কোনওরকম গুজবে কান দেবেন না, তাতে জনমানসে আরও বেশি আতঙ্ক ছড়াবে। আরও পড়ুন-BMC Makes Wearing Mask Mandatory: করোনার থাবায় কাঁপছে শহর, মুম্বইতে মাস্ক বাধ্যতামূলক করল বিএমসি
Dear residents, No need for panic buying. Identified Hot spots shall be sealed and home delivery of essential commodities and services shall be available at all places in the district. We shall take strict action against rumour mongerers/spreaders
— DM G.B. Nagar (@dmgbnagar) April 8, 2020
#WATCH: 15 districts have high viral load of #COVID19. So affected areas will be sealed. Only home delivery & medical teams will be allowed there. It's being done to prevent community spread, as numbers are high: RK Tiwari, Chief Secretary pic.twitter.com/BkNrCkvUnd
— ANI UP (@ANINewsUP) April 8, 2020
উত্তরপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের মধ্যে ১৬৬ জন দিল্লির তবলিকি জমাতে ছিলেন। রাজ্য ইতিমদ্য়ে জমাতে যাওয়া ১৬০০ জনকে চিহ্নিত করেছে। যাদের মধ্যে হাজার জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩২৬ জন। মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন তিনজন। দেশে ৫ হাজারেরও বেশ মানুষের শরীরে জীবাণুর প্রমাণ মিলেছে। মৃতের সংক্যা দেড়শো প্রায়।