গায়ের রং ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রায়শই মশকরা করছিলেন সহকর্মীরা। যে কারণে মানসিক চাপে পড়ে আত্মঘাতী হলেন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী। জানা যাচ্ছে বছর ২৭-এর শিবানী তিয়াগিকে বিগত ৬ মাস ধরে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থা করছিল তাঁর সহকর্মীরা। বাড়িতে এসে পরিবারকেও বিষয়টি জানায়। কিন্তু নিজের কাঁধে সংসার চালাচ্ছিলেন বলে মোটা টাকা বেতনের চাকরি ছাড়তে পারছিলেন না গাজিয়াবাদ নিবাসী শিবানী। শেষমেশ বাধ্য হয়ে গত শুক্রবার এক বোতল বিষ খেয়ে ফেলে সে। এরপর তাঁকে পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকেই চলছিল চিকিৎসা। কিন্তু গত মঙ্গলবার থমকে যায় শিবানীর জীবন।
জানা যাচ্ছে, নয়ডার সেক্টর ১২৮ একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের রিলেশনশিপ ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছিলেন শিবানী। আত্মঘাতীর আগে যুবতি সুইসাইট নোটে পাঁচ সহকর্মীর নাম উল্লেখ করেন। যার মধ্যে একজনের সঙ্গে প্রচন্ড বচসা ও হাতাহাতিও হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ। শিবানীর ভাই গৌরব তিয়াগী বলেন, "তাঁর দিদির পোশাক, খাওয়াদাওয়ার ধরন ইত্যাদি নিয়ে সবসময় মশকরা করত ওই পাঁচজন। এমনকী তাঁকে বাঁদর, ডিভোর্সী এইসব বলেও অফিসে ডাকতো। এদের মধ্যে এক মহিলা সম্প্রতি শিবানীকে গালাগালি দেয়। সেই নিয়ে প্রবল কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওই মহিলা শিবানীর ওপর হামলা করতে যায়। পাল্টা তাঁর দিদি ওই মহিলার পিঠে থাপ্পড় মারে"।
Ghaziabad: "Shivani Tyagi who worked in Axis Bank in Noida, her brother Gaurav Tyagi told that his sister committed suicide after being fed up with the harassment of her colleagues. A case has been registered in this matter and the matter is being thoroughly investigated," says… pic.twitter.com/jgN5kwT4Ml
— IANS (@ians_india) July 17, 2024
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সংস্থা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার এই নিয়ে অভিযোগ জানায় শিবানী। কিন্তু প্রতিবারই শিবানীকে ম্যানেজ করে নিতে বলা হয়। তবে সাম্প্রতিকতম ঝামেলার পর শিবানীকে ইস্তফা দিতে বলে কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যুবতি। বাড়ি এসে নিজে ঘরবন্দি হয়ে বিষ খেয়ে নেয় সে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ৫ কর্মী সহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।