ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়ার তীব্র বিরোধীতা করছেন ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলি। গত সোমবার নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে ৩০০ জন সাংসদ প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের ধস্তাধস্তিতে উত্তাল হয়েছিল কমিশনের সামনে। মঙ্গলবারও এসআইআর নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। বিরোধীদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের এই আচরণ এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে গতকালই প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর মতে, এসআইআর গোটা দেশজুড়়ে হওয়া উচিত। ভোটার তালিকায় গলদ থাকলে সরকার এখনই ভেঙে দেওয়া উচিত বলে দাবি করেন তিনি।

অভিষেককে নিয়ে সমালোচনা সুকান্তর

অভিষেকের এই মন্তব্যের পাল্টা দিলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ভোটচুরি করে ৭ লক্ষ ভোটে জিতে এসেছে। নির্বাচনের সময় সিসিটিভি ক্যামেরা অফ হয়ে গিয়েছিল তাঁর কেন্দ্রে। এগুলোই প্রমাণ যে উনি নিজেই ভোটচুরি করে সাংসদ হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে কোনও লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে যে কেউ দেখা করতে পারেন। কিন্তু এরা গেলে কোনও যুক্তিসঙ্গত কথা বলতে পারে না। তাই এই অবস্থা”।

দেখুন সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য

বাংলায় এসআইআর

প্রসঙ্গত, বিহারের এসআইআর হওয়ার পর এবার কমিশনের নজর বাংলা। আগামী বছর বাংলায় নির্বাচন রয়েছে। তার আগে রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। তবে এরাজ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু করার আগেই দেশজুড়ে বিরোধীতা শুরু করেছে ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা। গোটা বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি।