ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস (Photo Credit: IANS)

মু্ম্বই, ২৪ জানুয়ারি: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus Scare) আতঙ্ক এবার আরব সাগর পেরিয়ে ধাক্কা মারল মুম্বইতে। সংক্রমণের আশঙ্কায় মুম্বই (Mumbai) বিমানবন্দরে জারি হল চূড়ান্ত সতর্কতা। চিন-ফেরত ১,৭৩৯ জন যাত্রীরই স্ক্রিনিং করা হয় বিমানবন্দরে। এই যাত্রীদের মধ্যে ছ’জন চিনের ভাইরাস-সংক্রামিত এলাকা থেকে দেশে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন মুম্বই ও তিনজন পুণের বাসিন্দা। বিমানবন্দরের আধিকারিকরা বলছেন,  সন্দেহ করা হচ্ছে এই ছ’জনের মধ্যে দু’জন ভাইরাস সংক্রামিত। তাঁদের দ্রুত কস্তুরবা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মহিলা যাত্রী চিনের ফোশান শহরে ছিলেন এক সপ্তাহ। শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই দেশে ফিরেছেন তিনি। পুরুষ যাত্রী কল্যাণের বাসিন্দা। তিনি ছিলেন গোয়াংঝউতে। এই শহরেই গত কয়েকদিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে হুহু করে। মিলেছে মৃত্যুর খবরও।

মুম্বই বিমানবন্দর সূত্রে খবর,  ওই দুই যাত্রী এক নাগাড়ে হাঁচি-কাশি চলছে। থার্মাল-স্ক্রিনিংয়েও ধরা পড়েছে অস্বাভাবিকতা। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ কি না সেটা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে তড়িঘড়ি মুম্বই বিমানবন্দর থেকে তাঁদের কস্তুরবা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। দুই যাত্রীই সদ্য চিন থেকে ফিরেছেন। অনুমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কাবু করেছে তাঁদেরও। কারণ প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে উপসর্গ একই। কস্তুরবা হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুই রোগীকেই আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ সত্যি ছড়িয়েছে কি না সেটা জানার জন্য এলাইজা টেস্ট (এনজ়াইম লিঙ্কড ইমিউনোসরবেন্ট অ্যাসে) করা হবে তাঁদের। রক্তের  নমুনা পাঠানো হয়েছে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে বিশেষ মেডিক্যাল টিম তৈরি করে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আগামী ২৮ দিন তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আরও পড়ুন-Indian Embassy In Beijing Cancels Republic Day Ceremony: করোনা ভাইরাসের থাবা, বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসে বাতিল প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান

বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের একজিকিউটিভ হেলথ অফিসার ডাক্তার পদ্মজা কেসকার বলেছেন, ‘‘দু’জনের অবস্থা স্থিতিশীল। তবে কাশি ও জ্বর রয়েছে দু’জনেরই। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না।’’ চিন-ফেরত দুই যাত্রীর থেকে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়ানোর পরে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দপ্তর। চিনে বহুদিন বসবাস করার পরে দেশে ফিরেছেন এমন মানুষজন যাঁরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বা সর্দি-জ্বর-কাশি রয়েছে, তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই জন্য কয়েকটি হাসপাতালে তৈরি হয়েছে বিশেষ ওয়ার্ড, প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিক্যাল টিমকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(হু) সতর্কবার্তার পরে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাই বিমানবন্দরে জারি হয়েছে সতর্কতা। বসানো হয়েছে বিশেষ থার্মাল-স্ক্রিনিং যন্ত্র।