ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের

কলকাতা, ১২ অগাস্ট: ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কর্মীদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে পুলিশ। এবার ফের সরব হলেন কুণাল ঘোষ। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, ''আমবাসা। রাতে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশের হানা। তুলে নিয়ে যাওয়া। অন্ধকারে অতিসক্রিয়তা। অন্ধকারের জীবদের মতো আচরণ। গুন্ডারাজ, পুলিশরাজ দিয়ে মানুষের আন্দোলনকে ঠেকানো যাবে না। হামলা থেকে মামলা, যত এসব করবে, তত বোঝা যাবে, ভয় পেয়েছে বিজেপি (BJP)।''

সূত্রের খবর, বুধবার রাতে ত্রিপুরায় (Tripura) বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, সমর্থককে গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ। যাঁদের গ্রেফতার করা হয় বুধবার রাতে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের গাড়ির চালকও রয়েছেন বলে খবর। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। বুধবার রাতের ঘটনার পরপরই ফের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

 

এদিকে ত্রিপুরার খোয়াই থানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), ব্রাত্য বসু, দোলা সেনদের বিরুদ্ধে যে মামলায় দায়ের করা হয়েছে, তা মিথ্যে, অহেতুক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।

আরও পড়ুন: Tripura: ত্রিপুরায় অভিষেক, ব্রাত্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দাবি তৃণমূলের

২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে ওই রাজ্যে ঘাঁটি গড়তে শুরু করেছে, তার জেরে বিজেপি চিন্তিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এমনকী, বিপ্লব দেবকে সম্প্রতি দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তরফে। তবে কী কারণে বিপ্লব দেবকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে কীভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে রুখে দেওয়া যায়, সেই রণকৌশল তৈরি করতেই মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।