
২০২৬-এর ৩১ মার্চের আগে মাওবাদী (Maoist) মুক্ত দেশ বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা। ইতিমধ্যেই এই অভিযানে একাধিক মাওবাদী নেতা যেমন খতম হয়েছে, তেমনই অনেকে গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণ করেছে। তারপরেও ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে এখনও অব্যাহত এই অভিযান। চলতি মাসেই কুরেগোত্তালু পাহাড়ে বড়সড় অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবারে নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া ও বিজাপুরে নিকেশ হয়েছে একাধিক মাওবাদী। এই অভিযানে নিকেশ হয়েছে কমপক্ষে ২৭ জন নকশালপন্থী মাওবাদী, তার মধ্যে আবার এক মাও নেতাও ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
খতম মাও নেতা
বুধবার এই সফল অভিযান নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “নকশালবাদকে নির্মূল করতে গিয়ে যুগান্তকারী সাফল্য পেল বাহিনী। মৃত্যু হয়েছে সিপিআই-মাওবাদীর সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও (Nambala Keshav Rao) ওরফে বাসভারাজু। ইনি ছিলেন নকশাল আন্দোলনের অন্যতম মেরুদণ্ড। নকশালবাদের বিরুদ্ধে ভারতের তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা এই অভিযানে প্রথম কোনও এক সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদার মাও নেতা থতম হয়েছেন”।
আত্মসমর্পণ করেছেন বহু মাওবাদী
শাহ আরও বলেন, “এছাড়াও আনন্দের সঙ্গে জানানো হচ্ছে অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্টের মাধ্যমে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানার ৫৪ জন নকশালকে গ্রেফতার ও ৮৪ জনকে আত্মসমর্পণ করানো হয়েছে। এত বড় সাফল্যের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বাকি সংস্থাগুলিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এভাবে সফলতা পেলে আমরা ৩১ মার্চ ২০২৬-এর আগেই মাওবাদীমুক্ত দেশ গড়ে তুলব”।