দিল্লির (Delhi) ময়দানগড়িতে উদ্ধার একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ। বুধবার বিকেলে উদ্ধার হয় এক পুরুষ, এক মহিলা এবং এক যুবকের দেহ। প্রতিবেশীরাই থানায় খবর দেয়। সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, তিনজনকে খুন করে টাকাপয়সা, সোনার গয়না নিয়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই পুলিশ তিনজনদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তাঁদের দেহে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। ঘটনার পর থেকে এই পরিবারের চতুর্থ সদস্য নিখোঁজ রয়েছে। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
ঘর থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ
পুলিশসূত্রে খবর, বুধবার সাতবারি খারক গোয়ানের ১৫৫ নম্বর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনজনের দেহ। মৃতদের মধ্যে প্রেম সিংয়ের বয়স ৪৫-৫০ বছরের মধ্যে। তাঁর স্ত্রী রজনীর বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে এবং তাঁদের বড়ছেলে ঋতিকের বয়স ২৪ বছর। মৃতরা সকলেই ওই এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে মহিলার দেহ একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়। তাঁর মুখে কাপড় গোজা ছিল। অন্যদিকে বাকি দুজনের রক্তাক্ত দেহ অপর ঘর থেকে উদ্ধার হয়। তাঁদের মাথায় ছিল আঘাতের চিহ্ন।
নিখোঁজ ছোট ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এদিন সকাল থেকেই বাড়ি থেকে কেউ ঢুকছে বা বেরোচ্ছে না দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। ডাকাডাকি করার পরেও কোনও সারাশব্দ না আসায় সন্দেহের কারণেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, পরিবারের ছোট ছেলে সিদ্ধার্থ (২২-২৩ বছর) ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ। সে দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক রোগে ভুগছিল। এবং তাঁর চিকিৎসাও চলছে। ফলে পুলিশের অনুমান, সিদ্ধার্থই পরিবারের তিন সদস্যকে খুন করে পালিয়েছে। আপাতত তাঁর খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযানয