নতুন দিল্লি, ৩ ডিসেম্বর: গান্ধী পরিবারের উপর থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার পর জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তারপর সোমবার কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়ার লোধি এস্টেটের বাড়িতে পাঁচ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির ঢুকে পড়ার ঘটনায় হইহই পড়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সংসদে (Rajya Sabha) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah) জানিয়ে দিলেন, প্রিয়ঙ্কার বাড়িতে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। তিনজন নিরাপত্তাকর্মীকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এমনিতেই গান্ধী পরিবারের নিরাপত্তা থেকে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ তথা এসপিজি সরিয়ে নেওয়ার পর কম বিতর্ক হয়নি। তীব্র সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেস নেতারা।
এসপিজি প্রত্যাহারের পর এখন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী সিআরপিএফ-এর জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। সনিয়া-কন্যার বাস ভবনেও সিআরপিএফের জওয়ানরা ছিলেন। কিন্তু তাও কী ভাবে ওই পাঁচজন একেবারে বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, ওই পাঁচজনের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন। এদিকে আগে থেকে সময় নেওয়া না থাকলে প্রিয়াঙ্কা কারও সঙ্গে দেখা করেন না। এদিন পাঁচজন বাড়ির ভিতর চলে এসেছেন শুনে অবাক হয়ে যান তিনিও। আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। তারপর গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার পর কংগ্রেস রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছিল। আরও পড়ুন-Rajnath Singh Security Breach: রাজনাথ সিংয়ের কনভয় থামিয়ে আধার কার্ডের নাম পরিবর্তনের দাবি বৃদ্ধের, রাজধানীতে শোরগোল(দেখুন ভিডিও)
The Special Protection Group (Amendment) Bill, 2019 passed by Rajya Sabha. Congress had staged walkout from the House. pic.twitter.com/751OzjChiM
— ANI (@ANI) December 3, 2019
এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা। মঙ্গলবার তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “এটা শুধু প্রিয়াঙ্কার নিরাপত্তার ব্যাপার নয়। আমাদের ছেলেমেয়ে বা গান্ধী পরিবারের নিরাপত্তারও ব্যাপার নয়। আমাদের দেশের নাগরিকদের, বিশেষত মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই। রবার্টের মতে, সারা দেশেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। মেয়েদের নিয়মিত হেনস্থা করা হচ্ছে। তারা ধর্ষিত হচ্ছে। আমরা কোন সমাজ তৈরি করছি? প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। আমরা যদি নিজেদের দেশেই নিরাপদ না থাকি, বাড়িতে, রাস্তাঘাটে যদি নিজেদের নিরাপদ না বোধ করি, দিনের বেলায় অথবা রাতে যদি আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, তাহলে কোথায় আমরা নিরাপদ থাকব?”