দিল্লি, ২৯ জানুয়ারি: মহাকুম্ভে (Stampede In Kumbh Mela 2025) পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত ৬০ জন। মৌনী অমাবস্যায় যখন অমৃতস্নান শুরু হয়েছে, তখন এমনই জানালেন ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ। ডিআইজির কথায়, যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ২৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয় খোঁজার চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয় প্রশাসনের তরফে। বুধবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে মৃত এবং আহতের সংখ্যা প্রকাশ্যে আনেন ডিআইজি।
বৈভব কৃষ্ণ আরও জানান, মঙ্গল রাতে ব্রক্ষ্ম মুহূর্ত ছিল রাত ১টা থেকে ২টোর মধ্যে। ব্রক্ষ্ম মুহূর্তে স্নানের আগে মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। ব্রক্ষ্ম মুহূর্তে মানুষ যেভাবে ত্রিবেণী সঙ্গমে (Triveni Sangam) পূণ্যস্নান করতে যান, সেই সময় ভিড়ের চাপে ভেঙে পড়তে শুরু করে ব্যারিকেড। ভিড়ের চাপে একের পর এক পূণ্যার্থী নীচে পড়ে গেলে, তাঁদের পাড়িয়ে অন্যরা সেই জায়গা পার করে বাঁচতে চান। ফলে ভিড়ের চাপে ৩০ জনের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে ৯০ জনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে আহত অবস্থায়। মৃতদের মধ্যে যে ২৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১ জন গুজরাটের। ১ জন কর্ণাটকের। ১ জন অসমের। তবে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিভিন্ন আখাড়ার মহামণ্ডলেশ্বরদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আখাড়াগুলি যাতে পূণ্যস্নানে কিছুটা দেরি করায়, সে বিষয়ে কথা বলা হয়েছে বলে জানান ডিআইজি।
প্রশাসনের কথায়, ব্রক্ষ্ম মুহূর্তে পূণ্যস্নানের জন্য ত্রিবেণী সঙ্গমের দিকে ভক্তরা যেতে শুরু করেন, সেই সময় ঠেলাঠেলি শুরু হয়। ত্রিবেণী সঙ্গমের পাশে থাকা লোহার ডাস্টবিনে ধাক্কা খেয়ে একের পর এক পূণ্যার্থী পড়ে যেতে শুরু করেন। যার জেরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
ত্রিবেণী সঙ্গমে পূণ্যস্নান করতে গেলে যে দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তার জেরে সেনা বাহিনীর হাতে মেলা চত্ত্বর চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এনএসজি কমান্ডো নামানো হয়। তবে তার পর থেকে ফের মহাকুম্ভ ক্রমশ ছন্দে ফিরতে শুরু করে।