শিশুবলির চেষ্টা অসমে। Representational picture (Credits: Pixabay)

গুয়াহাটি, ৭ জুলাই: নাসা ক দিন আগেই ঘোষণা করেছিল এবার সূর্য অভিযানের চেষ্টা চলবে। চাঁদ, মঙ্গলের পর সূর্য অভিযানের চেষ্টায় যখন বিশ্ব এগোচ্ছে, তখন ভারতের অসমের এক গ্রামে পূণ্যলাভের জন্য শিশু বলির চেষ্টা হল। মধ্যযুগে যেমন হত- সেই যজ্ঞ, নরবলি, তেমনই ছবি ধরা পড়ল অসমের গ্রাম গণকপাড়ায় (Ganakpara village)। তাও আবার যিনি এসব কাজ করলেন, তিনি একজন শিক্ষক। মধ্যযুগীয় বর্বরতার নজিরবীন ঘটনার সাক্ষী থাকল অসমের ওদালগুড়ি জেলার গণকপাড়া গ্রাম।

স্থানীয় শিক্ষক যাদব চহরিয়ার বাড়িতে বছর তিনেক আগে ঘাঁটি গাড়েন তান্ত্রিক রমেশ চহরিয়া। তার নির্দেশেই শিশু বলির আয়োজন করে পরিবার। তান্ত্রিকের নির্দেশে শিশুবলির প্রস্তুতি তখন শেষ পর্যায়ে। হাঁড়িকাঠে সন্তানের গলা কাটতে শান দেওয়া হচ্ছে খড়গে। তারস্বরে চলছে মন্ত্রোচ্চারণ, যজ্ঞ। যজ্ঞের লকলকে আগুনের শিখা ঘিরে চলছে পরিবারের উন্মত্ত উলঙ্গ নৃত্য। তিন বছরের শিশুকে বলি দেওয়ার সব প্রস্তুতি যখন শেষ, তখন গ্রামবাসীর হামলা করেন সেই বাড়িটিতে। আরও পড়ুন-রক্ত দিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি ২ বোনের

তান্ত্রিকের মগজধোলাইয়ে বাড়িতে থাকা বাইক ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় পরিবারের লোকেরাই। প্রতিবেশীরা উন্মত্ত তাণ্ডব আটকানোর চেষ্টা করলেও কোনও ফল হয়নি। অভিযোগ, উল্টে তাদের দিকেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছুটে আসেন ওই পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়েই নারকীয় এই কাণ্ড রুখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও আধাসেনা। পুলিশের আবেদন, আর্জিতেও কোনও কাজ হয়নি। থামানো যায়নি তাণ্ডব। নরবলি রুখতে শেষমেষ গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। গুলিতে জখম হয় গৃহকর্তা যাদব চহরিয়া। ভন্ড সাধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে পরিবারের অন্য সদস্যদের।