Ravi Shankar Prasad, 'Movies & Economy': সমালোচনার মুখে নিজের বিবৃতি প্রত্যাহার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের
দেশের আর্থিক অবস্থার সঙ্গে বলিউড সিনেমার টিকিট বিক্রির কথা গুলিয়ে ফেলে বিতর্কে ডেকে এনেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় রবি শঙ্কর প্রসাদকে। শেষ পর্যন্ত নিজের সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হল নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্যকে।
নতুন দিল্লি, ১৩ অক্টোবর: Ravi Shankar Prasad Withdraws His 'Movies & Economy' Comment- দেশের আর্থিক অবস্থার সঙ্গে বলিউড সিনেমার টিকিট বিক্রির কথা গুলিয়ে ফেলে বিতর্কে ডেকে এনেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় রবি শঙ্কর প্রসাদকে। শেষ পর্যন্ত নিজের সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হল নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্যকে। যদিও তাঁর মন্তব্যের যে অপব্যাখাও হয়েছে সেটাও বলেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। দেশের অর্থনীতি সব ঠিক আছে বোঝাতে গিয়ে, রবিশঙ্কর প্রসাদ গতকাল মুম্বইতে বলেছিলেন, ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী (Gandhi Jayanti)-তে বলিউডে (Bollywood) তিনটে সিনেমা রেকর্ড ১২০ কোটির টিকিট বিক্রি করেছে তাহলে তো অর্থনীতি ঠিকই আছে।
এই কথাটা বলে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বুঝিয়েছিলেন, দেশের আর্থিক অবস্থা ভাল না হলে কী করে একদিনে শুধু বলিউড সিনেমা দেখার জন্য ১২০ কোটির টিকিট বিক্রি হয়! গতকাল মুম্বইয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে রবিশঙ্কর প্রসাদ দাবি করেছিলেন, ''মনোমহন সিংয়ের আমলে যেখানে ভারত IMF-র বিচারে ১১ নম্বর স্থানে ছিল। এখন সেখানে ফ্রান্সের মত দেশকে টপকে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে।'' এতটুকু ঠিকই ছিল। কিন্তু যেই বলিউড সিনেমার টিকিট বিক্রির তুলনা করে দেশের অর্থনীতি ঠিক আছে বোঝাতে চান সেখানেই সমালোচিত হন প্রসাদ। আরও পড়ুন- মঙ্গলবার থেকে 'গান্ধী সংকল্প যাত্রা' শুরু করবে রাজ্য বিজেপি, জানালেন দিলীপ ঘোষ
যদিও ক মাস আগেই এক তথ্যে প্রকাশ পায় দেশের শিল্পোৎপাদনের হার গত সাত বছরের মধ্যে সব থেকে নীচে নেমে এসেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে মন্দার খবরে বোঝা যায় দেশের অর্থনীতির হাল মোটেও স্বাস্থ্যকর নেই। এনএসএসওর রিপোর্টও বলেছিলেন, গত ৪৫ বছরের মধ্যে ভারতে বেকারত্বের হার সবথেকে বেশি।
IMF-র সমীক্ষাকে অসম্পূর্ণ বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, "আমি শুনেছি শুধু ২ অক্টোবর এক দিনেই তিনটি হিন্দি ছবি দেখার জন্য টিকিট বিক্রি হয়েছে ১২০ কোটি টাকার। দেশের আর্থিক অবস্থা মজবুত না হলে মাত্র এক দিনেই তিনটি ছবির টিকিট বিক্রি কী করে সম্ভব হত!''নিজের এই মন্তব্যে প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, "সেখানে একদিনে আমি তিনটি সিনেমা ১২০ কোটি টাকা টিকিট বিক্রি নিয়ে যা বলেছিলাম সেটা আংশিক সত্য়ি। আমি এই কথাটা দেশের সিনেমার রাজধানী মুম্বইয়ে বলেছিলাম। সেখানে লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয় এবং আমাদের কর ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে বলে আমি গর্বিত। আমাদের দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করতে কেন্দ্র সরকার নানারকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সাধারণ মানুষের আবেগ-সহানুভুতির ওপর খেয়াল রাখে। আমি মুম্বইতে সাংবাদিকদের যে বলেছি তা পুরোটাই আমার সোশ্যাল মিডিয়ায় আছে। আমার বিবৃতির একটা অংশ টেনে এনে আমার কথার ভুল বার্তা গিয়েছে। একজন সংবেদনশীল মানুষ হিসাবে আমি আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করছি।"গাড়ি শিল্পে মন্দার সঙ্গে দেশের মানুষের ওলা-উবের চড়ার প্রবণতাকে মিশিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন।
ক দিন আগে গান্ধী জয়ন্তী, ২ অক্টোবরে ভারতে যে তিনটি সিনেমা রিলিজ করেছিল
১) ওয়ার
২) স্কাই ইজ পিঙ্ক
৩) জোকার