নয়াদিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর: ভারত-চিন সীমান্তের (India-China face-off in Ladakh) সাম্প্রতিক পরিস্থিতি কী পর্যায়ে রয়েছে, দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সীমান্তের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানাক কেন্দ্র। গালওয়ান (Galwan Valley) এবং প্যাংগং লেকের (Pangong Lake) উত্তেজনার পর কেন্দ্রের কাছে একাধিকবার এই দাবি জানিয়েছে বিরোধী দল। এবার সেই নিয়েই লোকসভায় সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Defence Minister Rajnath Singh)। লাদাখ সীমান্তের সমাধানসূত্র মেলেনি এখনও। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির উপর নির্ভর করে যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অর্থাৎ এলএসি (LAC Border) নির্ধারিত হয়েছে, তা মানতে চাইছে না চিন। অর্থাৎ দু'তরফে এখনও কোনও সমাধানের ইঙ্গিত মেলেনি। তবে বেজিংকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় জওয়ানরা (Indian Army At LAC)। দেশবাসীর উচিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়ানো।
১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে ১৫ জুন গালওয়ানে লাল ফৌজ এবং ভারতীয় সেনাবাহীনীর সংঘর্ষের পর এই প্রথম অধিবেশন বসল। বাদল অধিবেশনেই পূর্ব লাদাখের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্য়াখ্যা দেন রাজনাথ সিং।
यह सदन अवगत है चाईना, भारत की लगभग 38,000 स्क्वायर किलोमीटर भूमि का अनधिकृत कब्जा लद्दाख में किए हुए है। इसके अलावा, 1963 में एक तथाकथित
बाउंडरी एग्रीमेंट के तहत, पाकिस्तान ने PoK की 5180 स्क्वायर किलोमीटर भारतीय जमीन अवैध रूप से चाईना को सौंप दी है: लोकसभा में रक्षा मंत्री pic.twitter.com/GNioEQNzuU
— ANI_HindiNews (@AHindinews) September 15, 2020
রাজনাথ সিং বলেন, "মে মাসের শুরুর দিক থেকেই প্যাংগং লেক, গালওয়ান উপত্যকা, গোগরা এবং কালা টপ অর্থাৎ পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রচুর পরিমাণে সেনা মজুত শুরু করে চিন। অবশেষে ১৫ জুন আক্রমণ চালায় লাল ফৌজ। এরপর থেকে একাধিকবার দু'পক্ষের মধ্যে বৈঠক এবং আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু সেই সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়নি এখনও। পূর্ব নির্ধারিত এলএসি নিয়ে চিনের বিরোধিতার জন্যই বিতর্কের সূত্রপাত।"
রাজনাথ সিং আরও বলেন, "আইনের তোয়াক্কা না করে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৫,১৮০ বর্গকিলোমিটার এলাকা পাকিস্তান চিনের হাতে তুলে দিয়েছে ভারতের বদলে। এছাড়া ইতিমধ্যেই লাদাখের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় অনৈতিকভাবে দখল নিয়েছে চিন। যে বিষয়টি সম্পর্কে সংসদে অবস্থিত সকলেই অবগত রয়েছেন।" সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগের দিন অর্থাৎ রবিবার দিল্লি-বেজিং সঙ্ঘাত নিয়ে সরকারের বিবৃতির দাবি তোলেন বিরোধীরা। এদিন লোকসভার বিষয় পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে চিন-ভারত সীমান্তের সংঘাত নিয়ে এক যোগে আলোচনার দাবি জানান কংগ্রেস, সিপিএম-সহ প্রায় সব বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। অবশেষে বিরোধীদের দাবি মেনেই সীমান্তের পরিস্থিতি কেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে মুখ খুললেন রাজনাথ সিং।