প্রতীকী ছবি (Photo Credit: Twitter)

জয়পুর, ৫ জুলাইঃ অসহ্য পেটে যন্ত্রণা নিয়ে মেয়েকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে  এনেছিলেন বাবা। কিন্তু হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর যখন রিপোর্ট হাতে এল তা দেখে তো চক্ষু চড়ক গাছ সকলেরই। দেখা গেল, ১৬ বছরের নাবালিকা তরুণী দু-মাসের অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant)। কয়েকজন যুবকের কাছে গণধর্ষণের শিকার হয় সে। পরিবারের কাছে গোটা ঘটনা খুলে বলতেই মেয়েকে নিয়ে থানায় অভিযোগ লেখাতে ছোটেন বাবা। রাজস্থানের (Rajasthan) আজমের (Ajmer) জেলার রূপনগড় থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত ৩ জুলাই গণধর্ষণের মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা।

পুলিশের কাছে অভিযোগে তিনি জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর ১৪ বছরের মেয়ে পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছিল। এরপর তিনি চিকিৎসার জন্যে রূপনগড় সরকারি হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, দুমাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই বছর চোদ্দর কিশোরী। এরপর বাড়ি এসে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে নির্যাতিতা। সে জানায়, এলাকারই তিন যুবক মিলে তাকে গণধর্ষণ করে। এই ঘটনা জানাজানি হলে তাঁর পরিবারকে খুন করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় সে।

বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ১৪ বছরের মেয়ের গণধর্ষণের মামলা রজু করেছে রূপনগড় থানার পুলিশ। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এক পুলিশকর্মী।